মৃতদেহের চিড়িয়াখানা
সিংহির গায়ে হেলান দিয়ে বসে রয়েছেন এক যুবক! নানা ইনি কোনও প্রশিক্ষিত `পশুদের বন্ধু বনে যাওয়া` ওয়াইল্ড লাইফ ফটোগ্রাফার বা `জংলি` টারজান নয়, বরং একজন সাধারণ দর্শক। আর এই ছবি একটি চিড়িয়াখানার। ভাবছেন এ আবার কোন চিড়িয়াখানা যেখানে হাতি মায় সব জানোয়ারই `মেরা সাথী`! এবার হয়তো ভাবছেন, জন্তুগুলো আসল নয়, কেবলই মূর্তি। তাও হল না, এই জন্তুগুলো আসলে মৃত জন্তু! না, না, `ফশিল পার্ক` ভেবে বসবেন না যেন। তাহলে কী? এবার সেটাই জানুন-
ওয়েব ডেস্ক: সিংহের গায়ে হেলান দিয়ে বসে রয়েছেন এক যুবক! নানা ইনি কোনও প্রশিক্ষিত 'পশুদের বন্ধু বনে যাওয়া' ওয়াইল্ড লাইফ ফটোগ্রাফার বা 'জংলি' টারজান নয়, বরং একজন সাধারণ দর্শক। আর এই ছবি একটি চিড়িয়াখানার। ভাবছেন এ আবার কোন চিড়িয়াখানা যেখানে হাতি মায় সব জানোয়ারই 'মেরা সাথী'! এবার হয়তো ভাবছেন, জন্তুগুলো আসল নয়, কেবলই মূর্তি। তাও হল না, এই জন্তুগুলো আসলে মৃত জন্তু! না, না, 'ফশিল পার্ক' ভেবে বসবেন না যেন। তাহলে কী? এবার সেটাই জানুন-
দুনিয়ার দুর্দান্ত সব চিড়িয়াখানার নাম তো শুনেছেন। সেসব নিয়ে অজস্র খবরও হয়েছে। কিন্তু বিশ্বের 'সবচেয়ে খারাপ' চিড়িয়াখানার নাম জানেন কি? না জানা থাকলে জেনে নিন, দুনিয়ার 'জঘন্যতম চিড়িয়াখানা'র পালক যুক্ত হয়েছে গাজার এই 'দ্য খান ইউনিস জু'র মুকুটে। কিন্তু এই চিড়ায়াখানার প্রতি জনমানসে হঠাত্ এমন বিরূপ প্রতিক্রিয়া তৈরি হল কেন? কেনই বা মৃত জন্তু রাখা হয় এখানে?
আরও পড়ুন- বেঙ্গল সাফারি পার্কে অন্য রূপে বন্যরা
গাজার দ্য খান ইউনিস জু-তে মূলত মৃত জন্তু জানোয়ার রাখা কারণ হিসাবে জানা গেছে, চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষের প্রবল অর্থাভাবের কথা। জীবন্ত স্বাস্থ্যবান পশু কিনতে গেলে যে পরিমান অর্থের প্রয়োজন, তা বর্তমানে নেই এই চিড়িয়াখানার তহবিলে। ফলে খাঁচার ভিতর মরা পশুই ভরসা। এভাবেই পশুদের মৃত দেহ নিয়ে চিড়ায়াখানা চলছিল কয়েক বছর ধরে। স্বাভাবিকভাবেই পচন ধরছে মৃতদেহে, বাঘের মুখে মাছি বসছে, দূষিত হচ্ছে পারিপার্শ্বিক পরিবেশ। অবশেষে ২০১৬ নাগাদ চিড়িয়াখানা থেকে সরিয়ে নেওয়া হয় সবকটি মৃত পশুর দেহ। ফলে, এখন 'দ্য খান ইউনিস জু' সব শূন্য, থুড়ি শব শূন্য...দেখুন নিচের ভিডিওটি-