ওয়েব ডেস্ক: বুলেটের ক্ষত এখনও দগদগে তার জবাবটা ব্যালেটে দিয়ে দিল জম্মু-কাশ্মীর। সকালের দিকে বেশ কয়েকটি বুথ ফাঁকা থাকলেও ভূ স্বর্গে ভোট পড়ল প্রায় ৫৮ শতাংশ। গত দু দফায় প্রায় ৭০ শতাংশ ভোট পড়েছিল, এবার সেখানে ভোটদানের হার কিছুটা কম হলেও এত বড় জঙ্গি হামলার পর ভোট হওয়া সত্ত্বেও ভোটদানে উত্সাহ ছিল দেখার মত। বিছিন্ন কয়েকটি ঘটনা ছাড়া তৃতীয় দফার এই ভোটগ্রহণে ছিল শান্তিপূর্ণ। প্রতিটি বুথের বাইরে ছিল আধা সামরিক বাহিনী।  রক্তক্ষয়, জঙ্গিদের চোখরাঙানি উপেক্ষা করেই আজ তৃতীয় দফার ভোটগ্রহণ হল জম্মু-কাশ্মীরে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা সহ মন্ত্রিসভার তিন সদস্যের ভাগ্য নির্ধারণ হয়ে গেল। বদগাঁও, পুলওয়ামা, বারামুল্লা--এই তিন জেলার ষোলোটি আসনে ভোট গ্রহণ হল। মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা জানান, মানুষ ভোট দিয়েছে, তাঁর দল বড় মার্জিনে জিতে ক্ষমতায় আসবে। অন্যদিকে, বিজেপির দাবি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কথা মেনেই জম্মু-কাশ্মীরের মানুষ ভোট দিয়েছে, এবার পরিবর্তন হবেই।


 গত সপ্তাহের জঙ্গি হামলার পর এই তিন জেলাতেই নিরাপত্তা ব্যবস্থা কয়েকগুণ বাড়ানো হয়েছিল। সবার নজর রয়েছে, উরি এবং ট্রাল বিধানসভা কেন্দ্রদুটির দিকে। এই অঞ্চলেই জঙ্গি নাশকতায় গত শুক্রবার নিহত হয়েছেন এগারো জন জওয়ান। বিভিন্ন জঙ্গি সংগঠন এবং বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠনগুলির ভোট বয়কটের ডাক অগ্রাহ্য করে গত দু দফায় রেকর্ড সত্তর শতাংশ ভোট পড়েছে ভূস্বর্গে।  


এদিকে, তৃতীয় দফার ভোটগ্রহণ হল ঝাড়খণ্ডেও। তৃতীয় দফায় ঝাড়খণ্ডে ভোট পড়ল প্রায় ৬১ শতাংশ। রাঁচি, বোকারো, হাজারিবাগ, কোডারমা, গিরিডি সহ আটটি জেলার ১৭টি আসনে ভোট হল। ভাগ্য নির্ধারণ হল ২৮৯জন প্রার্থীর। যাঁদের মধ্যে রয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বাবুলাল মারান্ডিও। আটজন বিধায়কের পাশাপাশি ভোটযুদ্ধের ময়দানে রয়েছেন ২৬ জন মহিলা প্রার্থীও। ১৭টি আসনেই সকাল সাতটা থেকে ভোট গ্রহণ শুরু হয়ে গেলেও, এর মধ্যে ১৪টিতে ভোট শেষ হল বেলা তিনটেয়। মাওবাদী প্রভাবিত অঞ্চল হওয়ায় নিরাপত্তার খাতিরে এই সিদ্ধান্ত। বাকি তিনটি আসন- রাঁচি, হাতিয়া এবং কাঙ্কেতে ভোট গ্রহণ চলল বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত। ভোটপর্ব ঘিরে কড়া নিরাপত্তার বন্দোবস্ত করা হয়েছিল।