নিজস্ব প্রতিবেদন- দশ জন পুলিসকর্মীকে নিয়োগ করা হয়েছিল তাঁর নিরাপত্তার দায়িত্বে। সেইসঙ্গে ব্যক্তিগত নিরাপত্তা রক্ষীরাও থাকতেন। কিন্তু আসল সময় কারও পাত্তা পাওয়া গেল না। জঙ্গিদের গুলিতে ঝাঁঝরা হয়ে গেলেন জম্মু ও কাশ্মীরের বিজেপি নেতা শেখ ওয়াসিম বারি। ১০ জন পুলিসকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে। কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হবে। জানা গিয়েছে, জঙ্গিরা যে সময়ে এসে বারিকে গুলি করে তখন একজন পুলিসকর্মীও তাঁর ধারে-কাছে ছিলেন না। এমনকী ব্যক্তিগত রক্ষীরাও কেউ ছিলেন না ঘটনাস্থলে। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

বুধবার রাত সাড়ে আটটা নাগাদ জঙ্গিদের গুলিতে নিহত হন বারি। তিনি সেই সময় বাড়ির নিচে একটি দোকানে দাঁড়িয়ে ছিলেন। হঠাত্ করেই জঙ্গিরা বাইকে চেপে এসে খুব কাছ থেকে তাঁকে গুলি করে। ওয়াসিম বারির বাবা বসির আহমেদ ও ভাই উমর বসিরকেও খুন করেছে জঙ্গিরা। সেই সময় রক্ষীরা দ্বোতলায় ছিলেন বলে জানা গিয়েছে। জম্মু-কাশ্মীর পুলিসের ডিজি দিলবাগ সিং জানিয়েছেন, জঈশ, লস্কর ও হিজবুলের মাস্টারমাইন্ডরা রয়েছে এই খুনের পিছনে। বারিকে খুন করা জঙ্গিদের শনাক্ত করা হয়েছে বলেও দাবি করেছে পুলিস। বারি, তাঁর বাবা ও ভাই তিনজনেই জম্মু-কাশ্মীরে বিজেপি নেতা ছিলেন। বারির মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।


আরও পড়ুন-  আটজন পুলিসকর্মী খুন : মধ্যপ্রদেশ থেকে গ্রেফতার মোস্ট ওয়ান্টেড বিকাশ দুবে


সিসিটিভি ক্যামেরায় দেখা গিয়েছে, জঙ্গিরা বাইকে চেপে এসে তিনজনের মাথা লক্ষ্য করে গুলি চালায়। রিভালভারে সাইলেন্সার লাগানো ছিল বলে সেভাবে আওয়াজ হয়নি। ফলে আশেপাশের লোক তাত্ক্ষনিকভাবে কিছু জানতেও পারেননি। ঘটনাস্থল থেকে থানার দূরত্ব ১০ মিটার। ফলে পুলিসের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। কাশ্মীর পুলিসের ইন্সপেক্টর জেনারেল বিজয় কুমার জানিয়েছেন, নিরাপত্তারক্ষীদের বিরুদ্ধে কর্তব্য গাফিলতির জন্য কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হবে।