দেশ জুড়ে শুরু হল কৃষকদের ১০ দিনের হরতাল, উত্তর ভারতে বাজারে আগুন লাগার আশঙ্কা
দাবিদাওয়া আদায়ে ১০ দিনের হরতাল শুরু করলেন দেশের ২২টি রাজ্যের কৃষকরা। যার প্রভাব পড়তে শুরু করেছে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। এদিন বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ দেখান কৃষকরা। কিছু এলাকায় সবজি ফেলে অবরোধ করা হয় রাস্তা। নাসিকে রাস্তায় দুধ ঢেলে প্রতিবাদ করেন কৃষকরা।
নিজস্ব প্রতিবেদন: দাবিদাওয়া আদায়ে ১০ দিনের হরতাল শুরু করলেন দেশের ২২টি রাজ্যের কৃষকরা। যার প্রভাব পড়তে শুরু করেছে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। এদিন বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ দেখান কৃষকরা। কিছু এলাকায় সবজি ফেলে অবরোধ করা হয় রাস্তা। নাসিকে রাস্তায় দুধ ঢেলে প্রতিবাদ করেন কৃষকরা।
বছরভর আগে দেওয়া প্রতিশ্রুতি এখনো রক্ষা করেনি কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারগুলি। প্রতিশ্রুতি পূরণের দাবিতে হরতাল শুরু করেছেন কৃষকরা। আন্দোলনকারীদের তরফে স্পষ্ট জানানো হয়েছে, হরতালের কর্মসূচি হিসাবে গ্রামীণ এলাকা থেকে শহরে সবজি ও অন্যান্য কৃষিজ উত্পাদন নিয়ে যেতে বাধা দেওয়া হবে। কৃষকদের হরতালের জেরে জনমানবশূন্য হয়ে পড়েছে দেশের বহু কৃষকবাজার।
কৃষকদের দাবি, দেশের সমস্ত কৃষিঋণ একসঙ্গে মকুব করতে হবে। সমস্ত ফসলের ক্ষেত্রে খরচের দেড় গুণ মুনাফার ব্যবস্থা করতে হবে সরকারকে। ছোট কৃষক ও ভূমিহীন কৃষকদের আয় নির্দিষ্ট করতে হবে।
আন্দোলনের অংশ হিসাবে আগামী ৬ জুন মধ্যপ্রদেশের মন্দসৌরে পুলিসের গুলিতে নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি জানাবেন কৃষকনেতারা। ১০ জুন ভারত বনধ ডেকেছেন কৃষকরা।
বাড়বে সামরিক সহযোগ, হবে যৌথ নৌমহড়া, সিঙ্গাপুরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বললেন মোদী
ওদিকে গোয়েন্দা সূত্রের খবর, হিংসাত্মক হয়ে উঠতে পারে কৃষকদের ধর্মঘট। বিশেষ করে জাতীয় সড়কে হঠাত্ জড়ো হয়ে বিক্ষোভ দেখানোর পরিকল্পনা রয়েছে কৃষকদের। যা থেকে হিংসা ছড়াতে পারে। আগামী ৬ জুন হার্দিক প্যাটেলের সঙ্গে মন্দসৌরে যাওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে রাহুল গান্ধীর। তা নিয়েও বিশেষ সতর্ক প্রশাসন।
কৃষকদের হরতালে উত্তর ভারত জুড়ে খাদ্যদ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধির আশঙ্কা করা হচ্ছে। যার ফলে বর্ষার আগেই আগুন লাগতে পারে বাজারে। পরিস্থিতির ওপর বিশেষ নজর রেখেছে সরকার।