নিজস্ব প্রতিবেদন: ফের মাস্টারস্ট্রোক বিজেপির! সিকিমে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী পবন চামলিংয়ের দলের ১০ বিধায়ক আজ দিল্লিতে গিয়ে বিজেপিতে যোগদান করলেন। বিজেপির কার্যনির্বাহী সভাপতি জেপি নাড্ডা, সাধারণ সম্পাদক রাম মাধবের নেতৃত্বে সিকিম ডেমোক্র্যাটিক ফ্রন্টের ওই ১০ বিধায়ক যোগদান করেন। উল্লেখ্য, এনডিএ শরিক সিকিম ক্রান্তিকারি মোর্চাই সরকারে রয়েছে সেখানে। ২০১৯ সিকিম বিধানসভা নির্বাচনে ৩২টির মধ্যে একটিও আসন ছিল না বিজেপির। আজ রাতারাতি তাদের ঝুলিতে ১০ বিধায়ক!


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING


পবন কুমার চামলিং সিকিমের সবচেয়ে দীর্ঘমেয়াদের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন। বলা ভাল, স্বাধীনতার পর দেশের প্রথম দীর্ঘমেয়াদের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন চামলিং। ১৯৯৪ সাল থেকে মুখ্যমন্ত্রী পদে আসীন ছিলেন চামলিং। এবারের নির্বাচনে তাঁর দল এসডিএফ পরাজিত হলেও শাসক সিকিম ক্রান্তিকারি মোর্চার থেকেও বেশি ভোট শতাংশ রয়েছে তাদের। তবে, আজ তাঁর দলের ১০ বিধায়ক বেরিয়ে যাওয়ায় চামলিং বেশ কিছুটা ধাক্কা খেলেন বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।


আরও পড়ুন- ‘বিমান নয়, কাশ্মীরিদের সঙ্গে খোলামেলা কথা বলতে চাই’, রাজ্যপালের ‘আমন্ত্রণে’ উপত্যকায় যেতে চান রাহুল


এই মুহূর্তে ৩২ আসনের সিকিম বিধানসভায় অঙ্ক দাঁড়ালো, সিকিম ক্রান্তিকারি মোর্চা ১৭, সিকিম ডেমোক্র্যাটিক ফ্রন্ট ৩, বিজেপি ১০। ২টি আসন শূন্য রয়েছে। উল্লেখ্য, উত্তর-পূর্ব রাজ্যগুলির মধ্যে সিকিমেই একমাত্র বিজেপি ক্ষমতায় ছিল না। নর্থ ইস্ট এনডিএ-এর মধ্যে সিকিম ক্রান্তিকারি মোর্চা যুক্ত হওয়ায় সেই বৃত্ত পূর্ণ হয় বিজেপির। তবে, একঝাঁক বিধায়ক ভাঙিয়ে পবন চামলিংয়ের মতো সিকিমের জনপ্রিয় জননেতার আত্মবিশ্বাসে এবার ফাটল ধরাতে সক্ষম হলেন মোদী-শাহরা।