নিজস্ব প্রতিবেদন: রাজস্থানের কোটায় সরকারি হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে ১০০ জন সদ্যোজাতের। শিশুমৃত্যুর ঘটনায় বেজায় চাপে পড়েছে কংগ্রেস। তাতে বিতর্ক আরও বাড়িয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট। তাঁর দাবি, বিজেপি আমলের চেয়ে পরিস্থিতি ভালো।  পরিস্থিতির গুরুত্ব বুঝে রাজস্থানের প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অবিনাশ পাণ্ডের সঙ্গে কথা বলেন সনিয়া গান্ধী। সূত্রের খবর, গোটা বিষয়টি নিয়ে বেশ অসন্তুষ্ট কংগ্রেস সভানেত্রী। রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছেন তিনি। অশোক গেহলটকে চিঠি দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধন।                            


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

রাজস্থানের কোটায় সরকারি হাসপাতালে মৃত্যু হচ্ছে একের পর এক শিশুর। এখনও পর্যন্ত সংখ্যা ১০০ ছাড়িয়েছে বলে খবর। রাজ্য সরকারের রিপোর্টেই বলা হয়েছে, সদ্যোজাতদের জন্য বেশ কয়েকটি ইনকিউবেটর অকোজে ছিল। গত ২৭ ডিসেম্বর হাসপাতাল পরিদর্শনে গিয়েছিলেন মেডিক্যাল শিক্ষা সচিব ও সিনিয়র ডাক্তাররা। বিষয়টি তদন্ত করেন তাঁরা। ওই রিপোর্টে দাবি, অত্যাধিক ঠান্ডায়ও মৃত্যুর কারণ। সব কটি শিশুকেই রাখা হয়েছিল ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে। তাদের বেশিরভাগকেই সংকটজনক অবস্থায় আনা হয়েছিল।


মুখ্যমন্ত্রীর গঠিত ৩ সদস্যের কমিটির রিপোর্ট অনুযায়ী, কোনও একটা নির্দিষ্ট কারণে সদ্যোজাতদের মৃত্যু হয়নি। অত্যাধিক ঠান্ডা সম্ভবত পরিস্থিতি আরও জটিল করে তুলেছে। বিশেষ করে যে সব শিশুর ওজন অনেক কম ছিল।        


শিশুমৃত্যু নিয়েও রাজনীতি করার অভিযোগ উঠেছে মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলটের বিরুদ্ধে। বিজেপি জমানার সঙ্গে পরিসংখ্যাগত তুলনা করেছেন। তিনি টুইটারে লিখেছেন,''চলতিবছর জেকে লোন হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে ৯৬৩টি শিশুর। ২০১৫ সালে ১২৬০ ও ২০১৬ সালে ১১৯৩ জনের শিশুর মৃত্যু হয়েছিল। তখন ক্ষমতায় ছিল বিজেপি। ২০১৮ সালে প্রাণ হারিয়েছিল ১০০৫টি শিশু।''  



কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধনকে ফোন করেছিলেন রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট। তাঁকে কোটায় আসতে অনুরোধ করেছেন। হর্ষ বর্ধন জানিয়েছেন, শিশুমৃত্যুর ঘটনায় উচ্চপর্যায়ের দল গঠন করা হয়েছে। রয়েছেন এইমস যোধপুরের বিশেষজ্ঞরা। আগামিকাল তাঁরা কোটায় পৌঁছবেন।            




রাজস্থানের স্বাস্থ্যমন্ত্রী রঘু শর্মার কথায়,''বিষয়টি অত্যন্ত দুঃখজনক। গুরুতর অবস্থায় আনা হয়েছিল একাধিক শিশুকে। বিজেপি চাইলে নিরীক্ষণ করতে পারে। যাদের বাঁচানো সম্ভব ছিল, তাদের বাঁচিয়েছি।''  


আরও পড়ুন- পাকিস্তান থেকে পালিয়ে আসা হিন্দুদের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করছে বিরোধীরা: মোদী