নিজস্ব প্রতিবেদন- কয়েক হাজার কৃষক জমায়েত করেছেন দিল্লি সীমানায়। কেন্দ্রীয় সরকারের নয়া কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে অবস্থান বিক্ষোভে রয়েছেন কৃষকরা। তাঁদের দাবি, নতুন এই কৃষি আইনে কৃষকদর লাভের থেকে ক্ষতি বেশি। সরকার যতই বলুক, চাষীরা নিজেদের ফসলের দাম নিজেরাই নির্ধারণ করতে বিক্রি করতে পারবেন, আসলে সেসব কিছুই হবে না। মাঝখান থেকে ফুলে-ফেপে উঠব ফোড়েদের পকেট। তবে সরকারও নাছোড়বান্দা। বিভিন্ন উপায়ে কৃষকদের নতুন কৃষি আইনের ভাল দিক বোঝাতে লেগে রয়েছে কৃষি মন্ত্রক। জানা গিয়েছে, সরকারের পক্ষ থেকে কৃষকদের আর কোনও প্রস্তাব দেওয়া হবে না। কৃষক আন্দোলন প্রায় ১৫ দিন ধরে চলছে। এই আন্দোলন যে অনির্দিষ্টকালের জন্য চলবে, তা বলাই যায়।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

পাঞ্জাব, হরিয়ানার কৃষকরা এই আন্দোলন শুরু করলেও পরবর্তীতে সারা দেশের বিভিন্ন রাজ্যের কয়েক হাজার চাষী যোগ দিয়েছেন। দিল্লির বিভিন্ন সীমানায় চলছে অবস্থান বিক্ষোভ। ঠাণ্ডা, খাদ্য-পানীয়ের অভাবসহ একাধিক প্রতিবন্ধকতা সত্ত্বেও কৃষকরা আন্দোলন সংগঠিত করেছেন। এর সেই আন্দোলনে যোগ দেওয়া চাষীদের পরিবারের লোকজনও পরোক্ষভাবে লড়াই চালাচ্ছেন। এই যেমন হরিয়ানার ফতেবাদের একজন কৃষকের ১১ বছরের মেয়ে বাবার অনুপস্থিতিতে চাষের কাজে নেমে পড়েছে। বাবা দিল্লিতে কৃষক আন্দোলনে রয়েছে। তাই বলে চাষের কাজ তো আর থেমে থাকতে পারে না। তা হলে সংসার চলবে কী করে! তাই ১১ বছর বয়সী প্রিয়া কোদাল-কাস্তে নিয়ে নেমে পড়েছে মাঠে।


আরও পড়ুন-  কৃষকদের আন্দোলনের পিছনে রয়েছে 'শাইনবাগ গ্যাং', বিস্ফোরক কেন্দ্রীয়মন্ত্রী


ষষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্রী প্রিয়া প্রথমে ক্ষেতের চারপাশে জল নিকাশী নালা কাটার কাজ করেছে। এর পর মাঠে হাল চালানোর কাজও করেছে। তার বাবা সতীশ কুমার প্রায় ১২ দিন ধরে দিল্লিতে আন্দোলনে সামিল। প্রিয়ার এখন স্কুল বন্ধ। তাই বাড়িতে পড়াশোনার পাশাপাশি চাষের কাজও করছে সে। বাড়ির অন্য মহিলারাও তাকে এই কাজে সাহায্য করছেন। প্রিয়ার বক্তব্য, চাষের কাজ বন্ধ হয়ে গেলে সংসার চলবে না। তা ছাড়া নির্দিষ্ট সময় জমি চাষের উপযুক্ত করতে না পারলে পরে সমস্যা দেখা দেবে। তাই বাবার অনুপস্থিতিতে গুরুদায়িত্ব পালনে নেমে পড়েছে প্রিয়া। তবে প্রিয়া চায়, বাবা যেন আন্দোলনের মাঝপথে ছেড়ে বাড়ি না আসে! বাবাকে সমর্থন জোগাতে যা যা করতে হবে সবই করতে রাজি এই ১১ বছরের মেয়ে।