ওয়েব ডেস্ক: মাওবাদী দমনে ছত্তিশগড়ে পাল্টা অভিযান যৌথ বাহিনীর। কমপক্ষে ১৫ মাওবাদীকে নিকেশ করা গেছে দাবি CRPF-এর। CRPF ছাড়াও অভিযানে ছিল রাজ্য পুলিস, STF, কোবরা ও DRG। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

সুকমা। দক্ষিণ বস্তারের প্রত্যন্ত জেলা। মাওবাদীদের হটবেড। দেড়মাসের মধ্যে দু-দুবার টার্গেটে CRPF। ৩৮জন জওয়ানের মৃত্যু। 


২৪ এপ্রিল, ২০১৭
মাও হানায় নিহত ২৬ CRPF


১১ মার্চ, ২০১৭
মাও হানায় নিহত ১২ CRPF


এবার পাল্টা হানা। কোবরা, STF, ছত্তিসগড় পুলিস ও DRG-র যৌথ অভিযানে খতম ১৫জন মাওবাদী। পাল্টা আঘাত CRPF-এর। ৯৬ ঘণ্টার টানা অপারেশন। নিকেশ ১৫ জন মাওবাদী। ১২-১৬ মে ৯৬ ঘণ্টার ম্যাসিভ অপারেশন চালায় যৌথ বাহিনী। অংশ নেন CRPF-র ৩০০ কোবরা জওয়ান,STF জওয়ান, রাজ্য পুলিস ও DRG জওয়ান। বিজাপুর থেকে অভিযান শুরু করে যৌথ বাহিনী। অন্ধ্র সীমানা ধরে সুকমার চিন্নাগোড়কাইল পর্যন্ত চলে  নিকেশ অভিযান। মূলত মাও কোর এরিয়া বলে পরিচিত এলাকারেই টার্গেট করা হয়। সবচেয়ে বড় এনকাউন্টারটি হয় ১৪ মে রায়গুডুং জঙ্গলে। প্রত্যাঘাত করেন মাওবাদীরাও। মাওবাদীদের ছোঁড়া গ্রেনেডে আহত হন STF জওয়ান সলদ উপাধ্যায়। পরে হাসপাতালে মারা যান তিনি। 


CRPF -র দাবি এনকাউন্টারে নিকেশ হয়েছে বেশকয়েকজন মাওবাদী। যদিও কোনও মাওবাদীর দেহ উদ্ধার করতে পারেনি CRPF। যৌথবাহিনীর দাবি, মাওবাদীরা কোবরা জওয়ানদের পোশাকে ছিল। সেদিনের এনকাউন্টারের ফুটেজও প্রকাশ করেছে যৌথ বাহিনী। যদিও তা ঘিরে দানা বেঁধেছে ধোঁয়াশা। এত গুরুত্বপূর্ণ এনকাউন্টারের সময় কেন CRPF জওয়ানরা বুলেটপ্রুফ জ্যাকেটে ছিলেন না তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন । প্রশ্ন উঠছে, কেন একজন মাওবাদীর দেহও উদ্ধার করতে পারল না CRPF।