ওয়েব ডেস্ক : বিশ্বজুড়ে 'সেক্স ট্রেড' বা দেহ ব্যবসার ৪০ শতাংশই হয় ভারতে। সরাসরি না হলেও, অসমর্থিত সূত্র অন্তত তাই বলছে। এবার সেই পরিসংখ্যানে উঠে এল আরও ভয়ঙ্কর তথ্য। মুম্বইয়ের যৌনপল্লিগুলিতে প্রায় ১৫ শতাংশ যৌনকর্মীই কিশোরী। IJM ও মহারাষ্ট্র শিশু সুরক্ষা কমিশনের দেওয়া সাম্প্রতিক তথ্য বলছে, গত এক দশকে সেখানে নারী পাচারের সংখ্যা প্রায় ১৪গুণ বেড়েছে। যা ক্রমেই ভয়ঙ্কর আকার ধারণ করছে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

রিপোর্টে প্রকাশ, অধিকাংশ কিশোরীর এখানে জীবন শুরু হয় ধর্ষণ, যৌন হেনস্থা-নির্যাতনের মত ঘটনা থেকে। ক্রমে সেই চাপ বাড়তে থাকে দিনের পর দিন। বলা হয়, দিনে এক এক জন কিশোরীকে ৫ থেকে ৬ জন পুরুষের সঙ্গে 'সেক্স' করতে বাধ্য করা হয়। এককথায় বিভীষিকাময় জীবনযাপন! এমনকি তারা যাতে কোনওভাবে গর্ভবতী না হয়ে পড়ে, তার জন্য দেওয়া হয় স্ট্রং হরমোনাল ইনজেকশনও।


আরও পড়ুন- 'আজব' প্রস্তাব প্রত্যাখান, হোটেলের মহিলা কর্মীকে মারধর সিকিরিটি ম্যানেজারের


IJM-এর রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, প্রতিদিন ৫ থেকে ৬ জনের সঙ্গে যৌনক্রিয়ার পর ওই কিশোরীদের দৈনিক ৫০০ থেকে ১,৫০০ টাকা দেওয়া হয়। অন্যদিকে, বেশিরভাগ টাকাই নিজেদের পকেটে পুরে নেয় তাদের এজেন্টরা।


সমীক্ষা বলছে, এই কিশোরীদের পাচার হওয়ার পিছনে দারিদ্র্যই প্রধান কারণ। মহারাষ্ট্রে ১ হাজার ১৬২টি বেশ্যালয় রয়েছে। সেখানে বর্তমানে ১০ হাজার ৮২ জন যৌনকর্মী কাজ করছে। তাদের অধিকাংশই দিল্লি, পশ্চিমবঙ্গ, রাজস্থান সহ উত্তরপূর্ব ভারতের বিভিন্ন জায়গা থেকে এসেছে। এই যৌনকর্মীদের ১৫ শতাংশের বয়স ১৫ থেকে ১৭ বছরের মধ্যে।


তথ্য অনুসারে মুম্বইয়ে দেহ ব্যবসায় বছরে আনুমানিক ২ হাজার ৫০০ কোটি টাকার লেনদেন হয়। কিন্তু, যৌনপল্লিগুলিতে কাজ করা মহিলা ও কিশোরীদের দুর্দশা ও শারীরিক পরিস্থিতির কোনও 'উন্নতি' ঘটে না। এই বিশাল অঙ্কের টাকা তাদের ঘরে আসে না।