১৬ বছরের মেয়ের সঙ্গে ২৩ বছরের ছেলের বিয়ে, দেশ কি আদৌ এগোচ্ছে?
সমাজকর্মীদের একটি দল পাত্র, তাঁর বাবা মা, গ্রামের কিছু লোক ও পুরোহিতের নামে পুলিসে অভিযোগ জানিয়েছে।
নিজস্ব প্রতিবেদন - চাঁদে যাওয়ার এত তোড়জোর। রোজ নতুন নতুন অস্ত্র আবিষ্কার নিয়ে আমরা মেতে উঠি। বিজ্ঞানের এই অগ্রগতি। নিজেদের আধুনিক বলে দাবি। এই সব কিছু এক মিনিটে মিথ্যে হয়ে যেতে পারে। এমন একটা খবর সভ্যতার অগ্রগতির দাবি নস্যাৎ করতে পারে মুহূর্তে। দেশের মধ্যে সব থেকে বেশি শিক্ষিতের হার কেরালায়। কিন্তু কেরালা য় একটি গর্ভবতী হাতি খুন প্রমাণ করেছে, শিক্ষিত হলেই মানুষ হওয়া যায় না। তেমনই তেলেঙ্গানার এই ঘটনা প্রমাণ করল, যতই দেশ চাঁদে পা রাখা নিয়ে গর্ব করুক দেশের বহু মানুষের মানসিকতা এখনও অনেক পিছিয়ে রয়েছে। ১৬ বছর বয়সী একটি মেয়েকে বিয়ের আসরে দেখে প্রশ্ন উঠতে পারে, দেশ কি সত্যি এগোচ্ছে?
গুণ্ডলাপচাম্পল্লি। হায়দরাবাদ থেকে ৩০ কিমি দুরেরেই জায়গায় ১৬ বছর বয়সী একটি মেয়েকে বিয়ে দেওয়া হল ২৩ বছরের ছেলের সঙ্গে। সমাজকর্মীদের একটি দল পাত্র, তাঁর বাবা মা, গ্রামের কিছু লোক ও পুরোহিতের নামে পুলিসে অভিযোগ জানিয়েছে। তাঁদের অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবি তোলা হয়েছে। এফ আই আরে লেখা হয়েছে মেয়েটির বয়স ষোল বছর।।কিন্তু সমাজকর্মীরা বলছেন মেয়েটি ক্লাস সিক্সে পড়ে। বাড়ির লোক ধরে বেঁধে জোর করে রাজু নামের এক দিনমজুরের সঙ্গে তাঁর বিয়ে দিয়েছে। বিয়ের আসরে ৩০ জন গ্রামবাসী ছিল। তাঁদের কারো মুখে মাস্ক ছিল না। একজন আরেকজনের গায়ে গা ঠেকিয়ে দাঁড়িয়ে বিয়ের উপাচার দেখছিল। সামাজিক দূরত্বের কোনও বালাই সেখানে ছিল না। সমাজকর্মী অচ্যুত রয় সবার আগে ঘটনাটি প্রকাশ্যে আনেন। তিনি এই ঘটনায় পকসো আইনে দোষীদের সাব্যস্ত করে শাস্তির দাবি করেছেন।
আরও পড়ুন- গর্ভবতী হাতির মৃত্যু নিয়ে শুরু রাজনীতি! স্মৃতি ইরানির নিশানায় রাহুল গান্ধী
মেয়েটির বিয়ে দেওয়া হয়েছে মেদচল জেলার কান্ডলাকয়ার মাথা মন্দিরে। প্রশ্ন উঠছে এই সময় মন্দির খোলার অনুমতি দিল কে? ৮ জুন দেশের ধর্মীয় স্থান খোলার নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। তার আগে কী করে মন্দির খুলে বিয়ে দেওয়া হল? ঘটনায় নাম জড়িয়েছে স্থানীয় এক নেতার। তাঁর নামেও পুলিসের কাছে অভিযোগ জমা পড়েছে।