ওয়েব ডেস্ক: ভেলোর যাবেন? অথচ ট্রেনে রিজার্ভেশনই করানো যায়নি? চাপ নেবেন না। এবার থেকে পেয়ে যাবেন সম্পূর্ণ রিজার্ভেশনহীন গোটা একটি ট্রেন। রীতিমতো আধুনিক সুযোগসুবিধা সহ। এরাজ্য থেকেই ছাড়তে চলেছে দেশের প্রথম এই অন্ত্যোদয় ট্রেন। যাত্রাপথ, হাওড়া থেকে এর্নাকুলাম।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

ভেলোর যাওয়া এখন আরও সহজ। রিজার্ভেশন না থাকলেও চেপে বসা যাবে ট্রেনে। কষ্টেসৃষ্টে নয়, বিন্দাস। আস্ত ট্রেনটাই যে রিজার্ভেশনহীন!!!


গতবছর রেল বাজেটে ঘোষণা হয় অন্ত্যোদয় ট্রেনের। ১৬ কোচের এই ট্রেন পুরোটাই LHB কোচ, অর্থাত্‍ বড় দুর্ঘটনায় ক্ষতির সম্ভাবনা কম। এই ধরনের কোচের আঘাত সহ্য করার ক্ষমতা অনেকটাই বেশি। রিজার্ভেশন হীন বলে সুযোগসুবিধে কম, এমনটা কিন্তু মোটেই ভাবার কারণ নেই।  রাজধানী বা শতাব্দীর মতোই মডিউলার বাথরুম রাখা হয়েছে অন্ত্যোদয় ট্রেনে। বাথরুমে কেউ থাকলে বাইরে থেকে তা সহজেই বোঝা যাবে। বায়ো টয়লেট হওয়ায় রেল লাইন নোংরা হওয়ার  কোনও সম্ভাবনাও থাকছে না।


শুধু সিটেই নয়, মালপত্র রাখার জায়গাতেও গদি লাগানো। প্রয়োজনে কেউ সেখানেও শুয়ে পড়তেই পারেন। ট্রেনের মেঝে অ্যান্টি স্কিট মেটেরিয়াল দিয়ে তৈরি, ফলে পা পিছলে পড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা প্রায় নেই। ট্রেনের সব আলোই LED। প্রতিটি কোচেই সিটের পাশে থাকছে প্লাগ পয়েন্ট। মোবাইল থেকে ল্যাপটপ যে কোনো কিছুই চার্জ দেওয়া যাবে। ট্রেনের প্রত্যেকটি কোচে থাকছে অগ্নি নির্বাপন ব্যবস্থাও।


অন্ত্যোদয় ট্রেনের এক একটি কোচ বানাতে খরচ হয়েছে প্রায় আড়াই কোটি টাকা। সাধারণ স্লিপার কোচ বানাতে যেখানে খরচ পড়ে প্রায় দেড় কোটি টাকা। হাওড়া থেকে এর্নাকুলামের জন্য প্রতি শনিবার এই ট্রেন ছাড়বে বিকেল পাঁচটায়। এর্নাকুলাম পৌছবে সোমবার ভোর ছটায়। যে সব স্টেশনে এই ট্রেন থামবে তার মধ্যে অন্যতম কাটপাডি। যা ভেলোরগামী রোগীদের কাছে নিঃসন্দেহে বিশেষ সুবিধার। (আরও পড়ুন- স্টেট ব্যাঙ্কে অ্যাকাউন্ট আছে? তাহলে অবশ্যই জানুন বিষয়টি...)