ওয়েব ডেস্ক: মুজাফ্ফরনগর ও শামলিতে সাম্প্রদায়িক হিংসার পর দায়ের ১৩১টি মামলা প্রত্যাহারের প্রক্রিয়া শুরু করল উত্তর প্রদেশের ‌যোগী সরকার। অভি‌যোগ, হিন্দুদের বিরুদ্ধে থাকা মামলাগুলি বেছে বেছে প্রত্যাহার করছে সরকার। ওই হিংসার ঘটনায় ৬০ জন মুসলিমের প্রাণ গিয়েছিল। ঘর ছাড়তে বাধ্য হয়েছিল বহু মুসলিম পরিবার।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

২০১৩ সালে পশ্চিম উত্তর প্রদেশের মুজাফ্ফরনগর ও শামলিতে সাম্প্রদায়িক হিংসার পর ৫০০টি মামলা দায়ের করে সমাজবাদী পার্টি পরিচালিত তৎকালীন রাজ্য সরকার। মোট ১৪৫০ জনকে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২, ৩০৭ ধারার মতো গুরুতর ধারা প্রয়োগ করা হয় সেই মামলাগুলিতে। এছাড়া ১৫৩এ ধারায় সাম্প্রদায়িক বৈরি ও ২৯৫এ ধারায় সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা ছড়ানোর অভি‌যোগেও অভি‌যুক্ত করা হয় বহু মানুষকে। 


ভিখরির সংখ্যায় শীর্ষে বাংলা


‌গত বছর উত্তর প্রদেশে বিজেপির বিপুল জয়ের পর ‌মামলা প্রত্যাহার নিয়ে জল্পনা শুরু হয়। চলতি বছরের ৫ ফেব্রুয়ারি বিজেপি সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সঞ্জীব বলীয়ানের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল ১৭৯টি মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে স্মারকলিপি দেন। তাঁদের অভি‌যোগ, প্রতিহিংসাপরায়ণ হয়ে নিরীহ মানুষদের ভুয়ো মামলায় ফাঁসিয়েছে অখিলেশ সরকার।


২৩ ফেব্রুয়ারি সেই মামলাগুলির অগ্রগতি খতিয়ে দেখতে একটি কমিটি গঠন করেন উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী ‌যোগী আদিত্যনাথ। সেই কমিটির রিপোর্ট খতিয়ে দেখে বৃহস্পতিবার ১৩১টি মামলা প্রত্যাহারের প্রক্রিয়া শুরু করতে নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।


বলীয়ান ছাড়াও মুজাফ্ফর নগর হিংসায় অভি‌যুক্তদের তালিকায় নাম রয়েছে বিজেপি বিধায়ক বুধানা উমেশ মালিক, রাজ্যের ইক্ষু মন্ত্রী সুরেশ রানা, বিজেপি বিধায়ক সঙ্গীত সোমের। 


রাজ্য সরকারের দাবি, জেলাশাসক ও পুলিস সুপারদের সঙ্গে কথা বলার পরেই মামলা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সমস্ত আইনি দিক খতিয়ে দেখেই মামলাগুলি প্রত্যাহার করা হবে। 


এর আগে দফায় দফায় ২০,০০০ মামলা প্রত্যাহার করেছে ‌যোগী সরকার। এর মধ্যে বেশ কয়েকটি মামলায় অভি‌যুক্ত ছিলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী ‌যোগী আদিত্যনাথই।