২০১৬ সালের গ্রীষ্মই হতে পারে সাম্প্রতিক কালের উষ্ণতম গ্রীষ্মকাল, জানাল মৌসম ভবন
২০১৬ সালের গ্রীষ্মই হতে পারে সাম্প্রতিক কালের উষ্ণতম গ্রীষ্মকাল। এমনটাই জানাচ্ছে দিল্লির মৌসম ভবন। এতদিনের সব রেকর্ডকে পিছনে ফেলে সেরা গরমের শিরোপা আদায় করে নিতে পারে ২০১৬।
ওয়েব ডেস্ক: ২০১৬ সালের গ্রীষ্মই হতে পারে সাম্প্রতিক কালের উষ্ণতম গ্রীষ্মকাল। এমনটাই জানাচ্ছে দিল্লির মৌসম ভবন। এতদিনের সব রেকর্ডকে পিছনে ফেলে সেরা গরমের শিরোপা আদায় করে নিতে পারে ২০১৬।
ফেব্রুয়ারির শেষ দিকেই টের পাওয়া গিয়েছিল। দিন যত এগিয়েছে ততই স্পষ্ট হচ্ছিল এবার গ্রীষ্মে ভোগাবে প্রাণান্তকর গরম। আশঙ্কা সত্যি করে গত প্রায় একমাস প্রবল গরমে দক্ষিণবঙ্গের হাঁসফাঁস অবস্থা। দেখা নেই কালবৈশাখীর। দেখা নেই মেঘ কিংবা বৃষ্টির। টানা প্রাণান্তকর গরম থেকে কবে মুক্তি মিলবে, তা নিয়ে কোনও আশার বাণী শোনাতে পারেনি আবহাওয়া দফতর। চিন্তা বাড়িয়ে আবহাওয়াবিদরা বলছেন, ২০১৬-র গ্রীষ্ম সাম্প্রতিককালের সব রেকর্ড ব্রেক করতে চলেছে।
এই গরমেও কাঁপুনি ধরনোর মতো খবর হচ্ছে, ২০১৬-র গ্রীষ্মই হতে পারে সাম্প্রতিক কালের উষ্ণতম গ্রীষ্মকাল। এমন সম্ভাবনার কথাই শুনিয়েছে দিল্লির মৌসম ভবন। একই পূর্বাভাস দিয়েছে আমেরিকার ন্যাশনাল ওশিয়ানিক এন্ড অ্যাটমোসফিয়ারিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশন।
গত বছর গোটা গ্রীষ্ম জুড়েই হাঁসফাঁস করেছিলেন ভারতবাসী। কিন্তু এবার মার্চ মাস থেকেই গরমের দাপট আরও বেশি। এপ্রিল পড়তেই শুরু হয়েছে তাপপ্রবাহ। কোনও কোনও দিন বইছে লু। প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের এল নিনোর প্রভাবই এই অসহ্য গরমের মূল কারণ, মনে করছেন আবহাওয়াবিদরা। কিভাবে সক্রিয় হয় এল নিনো?
প্রশান্ত মহাসাগরের শীতল স্রোত যতই নিরক্ষরেখার দিকে এগোয়, অজানা এক কারণে সেই স্রোতের উষ্ণতা বাড়ে। এর জেরে উষ্ণতা বাড়ে সামুদ্রিক বায়ুপ্রবাহের। শেষ পর্যন্ত সেই উষ্ণ বায়ুপ্রবাহ বদলে দেয় মহাদেশের আবহাওয়া। বাতাস থেকে উধাও হয় জলীয় বাষ্প। ভয়ঙ্কর শুকনো চেহারা নিয়ে হাজির হয় গ্রীষ্ম।
তবে আবহাওয়াবিদদের আশা, এখনই দুর্বল হতে শুরু করেছে এল নিনো। জুন মাস নাগাদ তা আরও দুর্বল হয়ে পড়বে। শুরু হবে লা নিনা পর্যায়। সেকারণেই এবার ভারতীয় উপমহাদেশে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাশ দিয়েছে আবহাওয়া দফতর।