নিজস্ব প্রতিবেদন: দক্ষিণ কাশ্মীরে পুলওয়ামা জেলায় ২০১৯ সালের ঘটনার পুনরাবৃত্তি রুখে দিল নিরাপত্তারক্ষী বাহিনী।  ডিএনএ-র প্রতিবেদন অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার রাজপোরায় একটি সন্দেহজনক সান্ত্রো গাড়ি আটক করে নিরাপত্তা বাহিনী। জানা যায়, ২০ কিলোগ্রাম আইইডি ভর্তি ছিল ওই গাড়িতে। সেনা, পুলিস এবং আধা সেনার যৌথ তল্লাসিতে দুর্ঘটনা ঘটানোর আগেই উদ্ধার করা হয় ওই গাড়িটি। তবে, চালক পলাতক বলে জানা গিয়েছে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

পুলিস জানিয়েছে, এ দিন সকালে নাকা চেকিং চলাকালীন গাড়িটির তল্লাসি চালানো হয়। ভুয়ো নম্বর প্লেট ছিল বলে জানা গিয়েছে। গাড়িটি বাধা দেওয়ায়, চালক ব্যারিকেড ভেঙে ঢোকার চেষ্টা করে। লক্ষ্য ছিল, বিস্ফোরক ভর্তি গাড়িটে আঘাত করে বিস্ফোরণ ঘটানো। কিন্তু নিরাপত্তারক্ষীদের তত্পরতায় রুখে দেওয়া সম্ভব হয়। তবে, চালক পলাতক বলে জানা গিয়েছে।


জম্মু-কাশ্মীর পুলিসের আইজি বিজয় কুমার জানান, বিস্ফোরক সুদ্ধ গাড়িটিকে চালক আঘাত করার চেষ্টা করলে গুলি চালায় নিরাপত্তারক্ষীরা। এরপর গাড়ি রেখে পালিয়ে যায় চালক। বম্ব স্কোয়াডের নিরক্ষণে পরিত্যক্ত জায়গায় গাড়িটিকে বিস্ফোরণ করা হয়। বিস্ফোরণ এতটা তীব্র ছিল, বেশ কিছু ঘড়-বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানা যায়। পুলিস জানাচ্ছে, কয়েক দিন আগেই বড়সড় নাশকতা হওয়ার খবর গোয়েন্দা সূত্রে তাদের কাছে আসে। গতকাল থেকে কড়া নজর রাখা হচ্ছিল বলে জম্মু-কাশ্মীর পুলিস দাবি করেছে।


আরও পড়ুন- আমফানের এক সপ্তাহ কাটার আগেই প্রাকবর্ষার ঝড়বৃষ্টিতে নাজেহাল বাংলা, আহত বহু


উল্লেখ্য, ২০১৯ সালে ফেব্রুয়ারিতে এই পুলওয়ামাতে সিআরপিএফ কনভয়ে বিস্ফোরক গাড়ি নিয়ে হামলা চালানো হয়। শহিদ হন ৪০ জওয়ান। এই হামলার ষড়যন্ত্র করে পাক মদতপুষ্ট জইশ-ই-মহম্মদ। এরপরও কূটনৈতিক লড়াই শুরু হয়ে যায় ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে। বেশ কিছু দিন ধরে নতুন করে জঙ্গি কার্যকলাপ মাথা চাড়া দিয়ে উঠেছে জম্মু-কাশ্মীরে। হিজবুল মুজাহিদিন কম্যান্ডার রিয়াজ় নায়কুকে নিকেষ করা হয়। তবে, গত দু’মাসে সেনার উচ্চ পদস্থ অফিসার-সহ ৩০ নিরাপত্তারক্ষীর শহিদ হয়েছেন। মৃত্যু হয়েছে ৩৮ জঙ্গির।