নিজস্ব প্রতিবেদন— মাত্র পাঁচ দিন। তাতেই নেমে এল বিপর্যয়। মাত্র পাঁচ দিনের ব্যবধানে করোনামুক্ত রাজ্য থেকে উত্তর-পূর্ব ভারতের সর্বাধিক করোনা আক্রান্ত রাজ্যে পরিণত ত্রিপুরা। ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব জানিয়েছেন, নতুন করে করোনায় আক্রান্ত ২২ জনের মধ্যে ১৮ জন পুরুষ, একজন মহিলা এবং তিনটি শিশু রয়েছে। শনাক্তদের বেশিরভাগ ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) সদস্য। জানা গিয়েছে, করোনা আক্রান্ত ১৮ জন পুরুষই ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) ১৩৮ নম্বর ব্যাটালিয়নের জওয়ান। মহিলা ও শিশুরা এই জওয়ানদের পরিবারের সদস্য।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

ত্রিপুরার ধলাই জেলায় বিএসএ—এর ১৩৮ নম্বর ব্যাটালিয়নের প্রধান কার্যালয়ে কর্মরত ছিলেন আক্রান্তরা। গত শনিবার এই ব্যাটালিয়ন—এর দুজন জওয়ানের শরীরের করোনার জীবাণু রয়েছে বলে জানা যায়। তার পরদিন আরও ১২ জন জওয়ান করোনা টেস্টে পজিটিভ হন। মঙ্গলবার আরও ১৩ জন নতুন করে শনাক্ত হয়েছে। ত্রিপুরায় এখনও পর্যন্ত করোনা শনাক্ত ৬২ জনের মধ্যে ৫৫ জনই বিএসএফ জওয়ান। কেন এত সংখ্যক বিএসএফ জওয়ান করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন? বিএসএফ—এর ত্রিপুরা ফ্রন্টিয়ার্স—এর ইনস্পেক্টর জেনারেল (আইজি)—কে চিঠি দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব কারণ জানতে চেয়েছেন।


আরও পড়ুন— অন্ধ্রের গ্যাস লিকের ঘটনায় নজর কেন্দ্রের, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের সঙ্গে এমার্জেন্সি মিটিংয়ে মোদী


পাঁচ দিনের মধ্যে এমন বিপর্যয়। যার জেরে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন ত্রিপুরাবাসী। তবে সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, অযথা আতঙ্কিত না হয়ে সরকারি নির্দেশ মেনে চলতে। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাড়ি থেকে বেরনোয় নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে রাজ্যজুড়ে। উল্লেখ্য ত্রিপুরায় সবার প্রথম ও দ্বিতীয় যে দুজন করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন তাঁরা আগরতলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিতসা করিয়ে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন।