নিজস্ব প্রতিবেদন: ২৫ জন মিলে গণধর্ষণ! হাড়হিম করা এই ঘটনা ঘটেছে লকডাউন চলা দিল্লিতে। তবে এই ঘটনা ঘটে ৩ মে। ঘটনার সপ্তাহ খানেক পর ২৫ জনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন মহিলা। জানা গিয়েছে, ওই মহিলা ৪ বছর ধরে দিল্লিতে পরিচারিকার কাজ করেন। ফেসবুকে এক ব্যক্তির সঙ্গে আলাপ হয় তাঁর। এরপরই দু’জনের মধ্যে ফোন নম্বরও অদানপ্রদান হয়। গাঢ় হতে থাকে বন্ধুত্ব। এরপর বাড়ির সদস্যদের সঙ্গে আলাপ করিয়ে দেওয়ার কথা বলেন সাগর। বিয়ে করার প্রতিশ্রুতিও দেয় সে। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

অভিযুক্তের বয়স ২৩ বছর। দিল্লির হোদলে সাক্ষাৎ করে বাবা মায়ের সঙ্গে আলাপ করিয়ে দেওয়ার কথা বলে সাগর। এরপর ৩ মে নির্যাতিতা সাক্ষাৎ করে সাগরের সঙ্গে। তারপর ঘুরতে নিয়ে যাওয়ার বাহানায় শহরতলির রামগড় গ্রামের জঙ্গলে নিয়ে যায় তাঁকে। সাগরের ভাই এবং তাঁদের বন্ধু বান্ধব সকলে দাঁড়িয়ে থাকে জঙ্গলের ভিতরে এক টিউবওয়েলের কাছে। যেখানে বসেছিল তাঁদের মদের আসর বলে অভিযোগ । 


এরপর মহিলাকে সাগর সহ পালা করে ধর্ষণ করেন বলে অভিযোগ। এখানেই শেষ নয়,মহিলাকে আকাশ নামে একজন ব্যবসায়ীর কাছে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেও ৫ জন তাঁকে শারীরিক নির্যাতন করে বলে অভিযোগ করেছেন মহিলা। এরপর মহিলার শারিরীক অবস্থা ক্রমশ অবনতি হওয়ার তাঁকে বদরপুর সীমান্তের কাছে ফেলে দিয়ে পালিয়ে যান তাঁরা।  


১২ মে হাসানপুর থানায় গিয়ে অভিযোগ দায়ের করেন নির্যাতিতা। পুলিসকে জানিয়েছেন তাঁর উঠে দাঁড়ানোর ক্ষমতা ছিল না। তাই অভিযোগ দায়ের করতে দেরি হয়ে যায়। হাসানপুর থানার এসএইচও রাজেশ জানিয়েছেন, তাঁরা শুক্রবার সাগরকে গ্রেফতার করেছে। বাকিরা এখনও পলাতক। খোঁজ চলছে এলাকায়।