ওয়েব ডেস্ক: পাক ভূখণ্ডে ঘাঁটি গেড়ে থাকা জঙ্গিরাই মুম্বইতে হামলা চালায়। মন্তব্য  প্রাক্তন পাক নিরাপত্তা উপদেষ্টার। এই মন্তব্যে চরম অস্বস্তিতে পাকিস্তান। যদিও পরে ঢোঁক গিলেছেন প্রাক্তন পাক আমলা। পাক সরকার বা ISI এই হামলার সঙ্গে কোনওভাবেই জড়িত নয় বলেও তিনি জানিয়েছেন।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

দুহাজার আটের মুম্বই হামলার পিছনে পাক ভূখণ্ডে ঘাঁটি গেড়ে থাকা জঙ্গিরাই। রাজধানী দিল্লিতে দাঁড়িয়ে বিস্ফোরকম মন্তব্য প্রাক্তন পাক জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার। ৮ বছর পরেও মুহূর্তে তাজা সেদিনের গায়ে কাঁটা দেওয়া সেই হামলা। গুলিতে ঝাঁঝরা  তাজ হোটেল, লিওপোল্ড ক্যাফে, ছবাদ হাউজ, ওবেরয় হোটেল, ছত্রপতি শিবাজি টার্মিনাস। ৪ দিনের হামলা। জ্বলন্ত তাজ। ছবাদ হাউজে হেলিকপ্টারে কম্যান্ডো।  দিওয়ালির পরে যেন জঙ্গিদের হাতে রক্তের হোলি। দেড়শোর বেশি দেশি বিদেশির মৃত্যু।


এতবছর ধরে কতবার পাক ভূখণ্ডে ঘাঁটি গেড়ে থাকা জঙ্গিদেরই এই হামলার জন্য দায়ী করেছে দিল্লি। কতবার ডস্যিয়ার দিয়েছে। কিন্তু সব তথ্যপ্রমাণকেই অবলীলায় খারিজ করে দিয়েছে পাকিস্তান। আন্তর্জাতিক দুনিয়াকে তুড়ি মেরে খুলে আম পাক ভূখণ্ডে ঘুরে বেড়িয়েছে মুম্বই হামলার  মাস্টারমাইন্ড হাফিজ সইদ।


জঙ্গিদমনে বিন্দুমাত্র উদ্যোগ দেখায়নি ইসলামাবাদ। মুম্বই হামলার দোষীদের ধরার কোনও চেষ্টাই করেনি। আর এতদিনে কিনা সেই তত্ত্বই মেনে নিলেন তত্কালীন পাক জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা? স্বীকার করলেন সীমান্ত পেরিয়ে সন্ত্রাসবাদের সবচেয়ে বড় উদাহরণ মুম্বই হামলাই। তবে পাক সরকার এবং ISI এই হামলার সঙ্গে জড়িত নয় বলেও দাবি দুরানির।


এই প্রথম নয়। আজমল আমির কসাব পাক নাগরিক। মুম্বই হামলার পরে বিস্ফোরক এই মন্তব্যেও পাকিস্তানের অস্বস্তি বাড়িয়েছিলেন দুরানি। সেই মন্তব্যের জেরে তত্কালীন পাক প্রধানমন্ত্রী ইউসুফ রাজা গিলানি মহম্মদ আলি দুরানিকে অপসারণ করেন।


দিল্লিতে প্রতিরক্ষা বিষয়ক সম্মেলনে বক্তব্য রাখতে এসেছিলেন মহম্মদ আলি দুরানি। এতদিন পরে দিল্লিতে দাঁড়িয়ে মুম্বই হামলা প্রসঙ্গে কেন পাকিস্তানের অস্বস্তি বাড়ালেন দুরানি। উঠছে সেই প্রশ্ন ।  পাক সরকারের উচিত হাফিজ সইদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া। মন্তব্য দুরানির।  মুম্বই হামলার এত বছর পর সবেমাত্র হাফিজ সইদকে গৃহবন্দি করেছে পাকিস্তান। সময়ই বলবে বিস্ফোরক দুরানি পাকিস্তানের অবস্থানে কোনও প্রভাব ফেলবে কিনা।