নিজস্ব প্রতিবেদন- সিংঘু সীমান্তে আন্দোলনরত ৩০০-র বেশি কৃষক অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। আগেই জানা গিয়েছিল সেই কথা। তাঁদের মধ্যে বেশিরভাগের জ্বর, সর্দি, কাশির মতো শারীরিক অসুস্থতা ছিল। তবে তাঁদের মধ্যে কেউই করোনা টেস্ট করাবেন না বলে জানিয়েছিলেন। কৃষকদের দাবি ছিল, করোনা টেস্ট করানোর নামে সরকার তাদের আন্দোলন ছত্রভঙ্গ করতে চাইছে। টেস্ট করার পর তাঁদের হাত নকল রিপোর্ট ধরিয়ে দেওয়া হতে পারে। এর পর তাঁদের ১৪ দিন বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টাইন-এ পাঠানো হতে পারে। তবে এবার জানা যাচ্ছে, অসুস্থ হয়ে আন্দোলনরত এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

বরোদা সোনিপতের সেই কৃষকের নাম অজয়। বয়স ৩২। টিডিআই সিটি-র সামনে তিন অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। গত দশ দিনের বেশি সময় ধরে তিনি আন্দোলনে সামিল ছিলেন। এক একর জমিতে চাষাবাদ করতেন তিনি। তাঁর তিনটি কন্যাসন্তান রয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। মৃত কৃষকের পরিবারে দাবি, দিনের পর দিন ঠাণ্ডার মধ্যে খোলা আকাশের নিচে থাকার জন্যই মৃত্যু হয়েছে অজয়ের। রাতের খাবার খেয়ে শুতে যান অজয়। তার পর সকালে তাঁকে মৃত অবস্থায় দেখতে পান অন্য কৃষকরা। পুলিস অজয়ের মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে।


আরও পডুন-  ভারত বনধে আজ দেশ অচল হওয়ার আশঙ্কা; কোনও রাজনৈতিক নেতাকে চাই না, ঘোষণা কৃষকদের


তিনটি কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে দিল্লিতে আন্দোলন করছেন কয়েক লাখ কৃষক। কিছুদিন আগেই কবলজিত সিং নামের এক কৃষক হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। তিনি অন্দোলনে সামিল হয়েছিলেন। তার পর শরীর অসুস্থ হয়ে পড়ায় গ্রামে ফিরে যান। সেখানেই মারা যান তিনি। তবে অনেকেই জানিয়েছিলেন, আচমকা হৃদরোগ আক্রান্ত হওয়ায় বাস থেকে পড়ে গিয়েছিলেন কবলজিত সিং। সুরিন্দর সিং নামে বছর পঞ্চাশের এক কৃষকও পথথ দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছিলেন। নিজের ট্রাক্টর নিয়ে আন্দোলনে যোগ দিতে যাচ্ছিলেন তিনি।