নিজস্ব প্রতিবেদন- মন্দিরের দরজা হাট করে খোলা। চারপাশে খুচরো পয়সা ছড়িয়ে রয়েছে। মন্দিরের জিনিসপত্র লন্ডভন্ড। সাত সকালে এমন ছবি দেখেই স্থানীয় বাসিন্দাদের সন্দেহ হয়েছিল। এর পর কয়েকজন মন্দিরের ভিতরে প্রবেশ করতেই চোখ কপালে ওঠে তাঁদের। মন্দিরের ভিতরে রক্তের বন্যা বয়ে যাচ্ছে। তিন পুরোহিতের নিথর দেহ পড়ে রয়েছে মন্দিরের ভিতরে। তিনজনেরই মাথা ভারি কিছু দিয়ে থেঁতলে দেওয়া হয়েছে। কর্নাটকের মাণ্ড্য শহরের শ্রী অরকেশ্বর মন্দিরের এমন ভয়ানক ঘটনায় চাঞ্চল্য ও আতঙ্ক ছড়িয়েছে এলাকাজুড়ে। মাণ্ড্য শহরের উপকণ্ঠে গুট্টালু এলাকায় এই মন্দিরটি অবস্থিত। তিনজন পুরোহিত সম্পর্কে একে অপরের মাসতুতো ভাই। তিনজনই বহু বছর ধরে ওই মন্দিরে পুজো করেন বলে জানা গিয়েছে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

গণেশ, প্রকাশ এবং আনন্দ নামের তিন পুরোহিতকে ডাকাতির উদ্দেশ্যে এসেই কেউ বা কারা খুন করেছে বলে আন্দাজ করছে পুলিস। তবে ডাকাতির উদ্দেশে এসে এমন নৃশংসভাবে তিনজনকে খুন করার বিষয়টি পুলিসকে ভাবাচ্ছে। মন্দিরের প্রণামী বাক্স ভেঙে টাকা নিয়েছে ডাকাতরা। খুচরো পয়সা এদিক-ওদিক ছড়িয়ে দিয়ে গিয়েছে। ঘুমের মধ্যেই তিন পুরোহিতকে খুন করা হয়েছে বলে পুলিস প্রাথমিকভাবে অনুমান করছে। এটাও মনে করা হচ্ছে যে খুনিদের সংখ্যা তিনজনের বেশি ছিল। তিনজন পুরোহিত রোজ রাতে ওই মন্দিরের ভিতরেই ঘুমোতেন। পাথর দিয়ে তিনজনের মাথা থেঁতলে খুন করেছে আততায়ীরা। মন্দিরের ভিতর দুর্মূল্য কোনও জিনিসের সন্ধানেই আততায়ীরা হানা দিয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।


আরও পড়ুন-  মধ্য কাশ্মীরের নারবাল গ্রামে এনকাউন্টার, গুলি খেয়ে ঝাঁপ দিয়েই মৃত্যু জঙ্গির


পুলিস ও ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞের দল ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে। কর্নাটকে 'বি' গ্র‌ুপের মন্দিরে হিসেবে পরিচিত শ্রী অরকেশ্বর মন্দির মুজরাই ডিপার্টমেন্টের অধীনে। কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী বিএস ইয়েদুরাপ্পা তিন পুরোহিতের পরিবারকে পাঁচ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে বলে ঘোষণা করেছেন।