স্কুলে লিফটের দরজার ফাঁকে আটকে পড়ে মৃত্যু তিন বছরের শিশুর


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

ওয়েব ডেস্ক: দল বেঁধে স্কুলবাড়ির তিনতলায় উঠছিল কচিকাঁচার দল। গ্রিলে ঘেরা লিফটে হঠাত্‍ই ছোট্ট সইদার পা পিছলে যায়। লিফটের দরজার ফাঁকে আটকে পড়ে তার মাথা। ছোট্ট  শরীরটা টাল সামলানোর আগে আচমকাই চালু হয়ে যায় লিফট। আতঙ্কের আর্তনাদ আর কান্নায়  স্কুল তোলপাড়। তার  মাঝেই মাত্র তিন বছরের সইদা  নিমেষে নিথর।


স্কুলে অঘটন-


মঙ্গলবার হায়দরাবাদের দিলসুখনগরে ছোটদের স্কুলে শুরুটা হয়েছিল আর পাঁচটা দিনের মতোই । লিফটে চড়িয়ে কচিকাঁচাদের তিনতলায় নিয়ে যাওয়ার পথেই আচমকা অঘটন। পা পিছলে পড়ে লিফটের দরজার ফাঁকে আটকে যায় তিন বছরের শিশু সইদা জেনাইব। আর ওঠেনি।


খবর ছড়াতেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন অভিভাবকরা। স্কুলের সামনেই শুরু হয়ে যায় বিক্ষোভ। প্রশ্নের মুখে স্কুল
---------
ছোটদের  ওই স্কুলে লিফট  চালানোর জন্য কোনও কর্মী  ছিলেন না কেন?


সইদা পড়ে যাওয়ার পরেও কেন ওই পড়ুয়াদের সঙ্গী শিক্ষকের তা নজরে পড়ল না?


মর্মান্তিক এই দুর্ঘটনার  জন্য স্কুল কর্তৃপক্ষের গাফিলতিই কি দায়ী নয়?


অবরোধ তুলতে গেলে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিসের ধস্তাধস্তি বেধে যায়।


প্রাথমিক স্কুলে লিফট থাকা কি আইনত বৈধ?


রাজ্য শিশু অধিকার রক্ষা কমিশনের সদস্য স্কুল কর্তৃপক্ষকেই দায়ী করেন। স্কুলের প্রধানশিক্ষিকা সহ দুজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিস। হয়তো এরপর স্কুলের লিফট বন্ধ হবে। কিন্তু ছোট্ট সইদা আর  ফিরে আসবে না কোনওদিন।