দিল্লি: নারদকাণ্ডে কলকাতা হাইকোর্টের রায়কেই বহাল রাখল ভারতের শীর্ষ আদালত। ভারতের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার হাতেই থাকল নারদকাণ্ডের তদন্ত। উপরন্তু ৭২ ঘণ্টার পরিবর্তে তদন্তের রিপোর্ট জমা দেওয়ার সময়সীমা বেড়ে হল ৩০ দিন। অর্থাৎ সিবিআই আরও সময় নিয়ে নারদ তদন্ত করার সুযোগ পেয়ে গেল। আর এতেই চাপ বাড়ল পশ্চিমবঙ্গের শাসক দল তৃণমূলের। (হাইকোর্টকে 'পক্ষপাতদুষ্ট' বলায় রাজ্যকে নিঃশর্ত ক্ষমা চাওয়ার নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের, নারদে বহাল থাকল সিবিআই তদন্ত


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

শুক্রবার নারদকাণ্ডে কলকাতা হাইকোর্টের রায়ে বলা হয়, "ভিডিও জাল নয়। নারদ স্টিং অপারেশনে অভিযুক্ত নেতা, মন্ত্রী এবং সাংসদদের বিরুদ্ধে তদন্তভারের দায়িত্ব সিবিআইয়ের হাতে দেওয়া হয়েছে"। এরপরই কলকাতা হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার কথা বলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর ইঙ্গিত বিজেপিই নারদকাণ্ডে কলকাঠি নাড়ছে, 'রায় নিরপেক্ষ নয়'! সেইমত আজ মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টে রাজ্য এবং তৃণমূলের পক্ষ থেকে নারদ মামলায় সওয়াল করেন আইনজীবী কপিল সিব্বল এবং অভিষেক মনু সিংভি। 


উত্তরে সুপ্রিম কোর্টের জবাব-     


এক। কলকাতা হাইকোর্টের রায়কে 'অসম্মান' করা এবং আদালতেকে 'পক্ষপাতদুষ্ট' বলায় নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে হবে রাজ্যকে। 


দুই। নারদকাণ্ডে কলকাতা হাইকোর্টের রায়কেই বহাল রাখল শীর্ষ আদালত।


তিন। ৭২ ঘণ্টার পরিবর্তে নারদকাণ্ডে সিবিআইয়ের রিপোর্ট জমা দেওয়ার সময়সীমা বাড়িয়ে এক মাস করার নির্দেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত।


চার। নারদকাণ্ড নিয়ে রাজ্য এবং তৃণমূলের পক্ষ থেকে আইনজীবীদের কোনও সওয়াল শোনেইনি শীর্ষ আদালত। 


পাঁচ। রাজ্যের করা মামলা প্রত্যাহার করার নির্দেশ দিয়েছে সর্বোচ্চ আদালত।