নিজস্ব প্রতিবেদন : পাঁচ বছরের ছোট্টো ছেলেটার গায়ের রং ঈষত্ শ্যামবর্ণ। আর তাতেই আপত্তি। ছেলেকে যেভাবেই হোক ফর্সা করতেই হবে। এই লক্ষ্য নিয়ে শুরু হয় মায়ের নানা পরীক্ষা নিরীক্ষা। প্রতিবেশীর কাছে বুদ্ধি নিয়ে শুরু হয় কালো পাথর শিশুর শরীরে ঘষে তাকে ফর্সা করার প্রয়াস। পাথরের ঘষায় ক্ষতবিক্ষত হয়ে যায় শিশুটি। অবশেষে এক আত্মীয়ার উদ্যোগে গুরুতর জখম অবস্থায় শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়। আপাতত শিশুটিকে চাইল্ড লাইনের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। অত্যন্ত মর্মান্তিক এই ঘটনাটি ঘটেছে মধ্যপ্রদেশের নিশাতপুরা এলাকায়।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন- এবার গাড়ি প্রস্তুতকারী সংস্থাই দেবে নতুন নম্বর প্লেট


জানা গেছে, নিঃসন্তান দম্পতি সুধা তিওয়ারি ও তার স্বামী দেড় বছর আগে ঝাড়খণ্ডের একটি অনাথ আশ্রম থেকে দত্তক নেন শিশুটিকে। তাদের এক আত্মীয়া জানিয়েছেন, শিশুটিকে নিয়ে আসর পর থেকেই খুশি ছিলেন না সুধা। বিশেষ করে শিশুটি শ্যামবর্ণ হওয়ায় বিরক্ত ছিলেন তিনি। টিভিতে রূপচর্চা সংক্রান্ত নানা রকম বিজ্ঞাপন দেখে শুরু হয় শিশুটির গায়ের রং ফর্সা করার কাজ। কিন্তু তাতে কোনও ফল না মেলায় অবশেষে এক প্রতিবেশীর কথায় একটি বিশেষ ধরনের কালো পাথর নিয়ে আসেন সুধা। এরপরই শুরু হয় সেই নারকীয় অত্যাচার।


আরও পড়ুন- থানার ছাদে ঘনিষ্ঠ বিদেশি যুগল! ভিডিও ছড়াল সোশ্যাল মিডিয়ায়


প্রত্যেক দিন নিয়ম করে সকালে বিকেলে সেই পাথর ঘষে চলছিল শিশুটিকে ফর্সা করার চেষ্টা। পাথরের ঘষায় শিশুটির হাতে, পায়ে, পিঠের চামড়া উঠে যায়। শুরু হয় রক্তক্ষরণ। কিন্তু তারপরও নিজেকে বাগে আনতে পারেননি সুধা। ফলে শিশুটির সারা শরীরে তৈরি হয় দগদগে ঘা। এই নির্মম অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে অবশেষে সুধার দিদির মেয়ে গোটা বিষয়টি জানান চাইন্ড লাইনে। অভিযোগ পেয়ে পুলিসকে সঙ্গে নিয়ে চাইল্ড লাইনের সদস্যরা হাজির হন সুধার বাড়িতে। উদ্ধার করা হয় শিশুটিকে। আপাতত হাসপাতালে চিকিত্সাধীন শিশুটি। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।