নিজস্ব প্রতিবেদন: গবাদি পশু নিয়ে ফের শিরোনামে রাজস্থানের আলোয়ার। স্থানীয় এক মুসলিম পরিবারের দাবি, তাঁদের ৫১টি গরু বাজেয়াপ্ত করে নিয়ে গিয়েছে পুলিশ। স্থানীয় একটি সংগঠনের অভিযোগের ভিত্তিতে প্রাণীগুলিকে তুলে দেওয়া হয়েছে গোশালা কর্তৃপক্ষের হাতে। গরু ফেরত পেতে কালঘাম ছুটছে পরিবারটির। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

মাস ছয়েক আগে এই আলোয়ারেই গোরক্ষকদের মারে মৃত্যু হয়েছিল পহলু খানের। সেখানেই ফের পুলিশের বিরুদ্ধে মুসলিম পরিবারের গরু লুঠের অভিযোগ। পুলিশের যদিও দাবি, এই ঘটনায় হাত নেই তাঁদের। কিন্তু গত ১০ দিন ধরে গরুগুলি ফেরত পেতে পুলিশের কোনও সাহায্য মেলেনি বলে জানিয়েছে পরিবারটি।  


আরও পড়ুন - সন্ত্রাস নিয়ে দু'মুখো নীতি, হাফিজ সইদকে মুক্তি দেওয়ার ফিকির করছে পাকিস্তান


পরিবারটির সদস্য সুব্বা খান জানিয়েছেন, পুলিশ তাঁদের ৫১টি গরু বাজেয়াপ্ত করে নিয়ে গিয়েছে। স্থানীয় গোরক্ষকদের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ একাজ করেছে বলে অভিযোগ তাঁর। গরু ফেরত পেতে মহকুমা শাসকের দফতর থেকে স্থানীয় থানায় ঘুরেও কাজ হয়নি। 


ওদিকে স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধানের দাবি, পরিবারটি গোহত্যার সঙ্গে যুক্ত বলে থানায় অভিযোগ জানিয়েছিলেন স্থানীয়রা। অভিযোগ অস্বীকার করে সুব্বা খানের দাবি, বেশ কয়েকটি গাভী দুগ্ধবতী ছিল। তাদের নিয়ে গেলেও বাছুরগুলিকে রেখে গিয়েছে পুলিশ। বাছুরগুলিকে বোতলে করে দুধ খাইয়ে বাঁচিয়ে রেখেছেন তাঁরা।


স্থানীয় কৃষ্ণগড় থানার আধিকারিক পুলিশের বিরুদ্ধে যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করে জানিয়েছেন, স্থানীয়রাই গরুগুলিকে গোশালায় দিয়ে এসেছিলেন। তার পর খান পরিবার গরুপাচারের সঙ্গে যুক্ত নয় বলে সম্প্রতি মহকুমাশাসকের কাছে চিঠি দিয়েছেন তাঁরা। পরিবারটি দুধ বিক্রি করে বলে চিঠিতে জানানো হয়েছে। 


খান পরিবার রাজস্থানের মেও জাতিভুক্ত। বংশপরম্পরায় দুধের ব্যাবসা করেন তাঁরা।