নিজস্ব প্রতিবেদন: দেশসেবার স্বপ্ন নিয়ে ৫০০ও বেশি কাশ্মীরি যুবক যোগ দিলেন ভারতীয় সেনায়। নিজের সন্তানের সেনায় যোগ দেওয়ার পাসিং আউট প্যারেড অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন গর্বিত কাশ্মীরী মা-বাবারাও। আর হাতে পাথর নয়, বরং দেশরক্ষার জন্য বন্দুক ধরবেন কাশ্মীরি যুবকরা। ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিলের পর এটাই বদলে যাওয়া জম্মু-কাশ্মীরের কাহিনি। সেখানকার যুবকরা এবার দেশের ঐক্য ও অখণ্ডতার জন্য যোগ দিলেন সেনায়। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

চারিদিকে ছিল একটা সংশয়। ৩৭০ অনুচ্ছেদ বিলোপের পর কাশ্মীরের অবস্থা কেমনটা হবে! কোনওরকম অশান্তির পরিস্থিতি যাতে তৈরি না হয় তা মাথায় রেখে কাশ্মীর জুড়ে কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা হয়েছে। মোতায়েন হয়েছে সেনা। জারি হয়েছে কারফিউ। গৃহবন্দি করা হয়েছে নেতাদের। এমন একটা সময়ে ভারতীয় সেনায় যোগ দিলেন জম্মু-কাশ্মীরের ৫৭৫ জন যুবক। দেশ সেবায় নিজেকে নিয়োগ করতে চান তাঁরা। ভারতীয় সেনার উর্দি গায়ে নিজের সন্তানদের দেখে গর্বিত বাবা-মা। কাশ্মীরের সেনা নিয়োগের পাসিং আউট প্যারেডে উপস্থিত ছিলেন পরিবারের অন্যন্যরা। সেনাবাহিনীতে যোগ দেওয়া কাশ্মীরি যুবকরা স্বপ্ন দেখছে নতুন ভারতের। শপথে উঠল 'ভারত মাতা কি জয়' স্লোগান। কাশ্মীরি যুবকদের শপথগ্রহণ করালেন হিন্দু, মুসলিম ও শিখ ধর্মগুরুরা। 



জি মিডিয়াকে কাশ্মীরি যুবকরা জানান, দেশের জন্য প্রাণত্যাগে রাজি। ভারত মায়ের রক্ষার জন্য ততপর থাকব। গর্ব অনুভব করছেন তাঁরা। নবনিযুক্ত সৈনিকরা কাশ্মীরি যুবকদের আবেদন করেছেন, দেশহিতের জন্য সামিল হোন ভারতীয় সেনায়। ভারতীয় সেনার লেফট্যানান্ট জেনারেল অশ্বিনী কুমার জি মিডিয়াকে বলেন, জম্মু-কাশ্মীরে লাগাতার ভর্তি প্রক্রিয়া চলবে। আর এটাই বদলে যাওয়া কাশ্মীরের ছবি। সবসময় কাশ্মীরিদের সঙ্গে রয়েছে ভারতীয় সেনা। 


বলে রাখি, অনুপ্রবেশকারীদের মোকাবিলায় ১৯৪৭ সালে জম্মু-কাশ্মীরে গঠিত হয়েছিল লাইট ইনফেন্ট্রি রেডিমেন্ট। ১৯৭২ সালে ভারতীয় সেনার অভিন্ন অংশ করা হয় সেটিকে। 


আরও পড়ুন- রাজনৈতিক লাভ তোলার চেষ্টা করছিল, মুখোশ খুলে দিয়েছে এনআরসি বিপর্যয়: মমতা