নিজস্ব প্রতিবেদন- জম্মু-কাশ্মীরে পাকিস্তানি সেনার সংঘর্ষ বিরতি অবমাননা নতুন কিছু নয়। আর বারবারই তাঁদের এমন বর্বোরচিত আক্রমণের জেরে ভারতীয় সেনা জওয়ানদের প্রাণ হারাতে হয়। দিওয়ালির আগে আরও একবার পাকিস্তান সংঘর্ষ বিরতির লঙ্ঘন করল। উরিতে পাক সেনার অতর্কিত ফায়ারিং-এ প্রাণ হারালেন দুজন ভারতীয় সেনা। মারা গিয়েছেন তিনজন নিরীহ গ্রামবাসীও। জানা গিয়েছে, ভারতীয় সেনার পাল্টা মারে সাত-আটজন পাকিস্তানি সেনাও প্রাণ হারিয়েছেন। কমপক্ষে দশজন পাক সেনা গুরুতর আহত বলে জানা গিয়েছে। পাক সেনার একাধিক ছাউনি ও লঞ্চপ্যাড ভারতীয় সেনা ধংস করেছে বলেও খবর পাওয়া যাচ্ছে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

এএনআই জানাচ্ছে, সুবোধ ঘোষ এবং হারাধন চন্দ্র রায় নামে দুই ভারতীয় জওয়ান পাক-হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন। এছাড়া হাজি পীর এলাকায় বিএসএফ-এর একজন সাব ইন্সপেক্টর শহিদ হয়েছেন বলেও খবর। এছাড়া বিএসএফ-এর আরও একজন জওয়ান গুরুতর আহত হয়েছেন বলে খবর। ভারতীয় সেনার সাত-আটজন সেনা আহত হয়েছেন পাকিস্তানি সেনার এই কাপুরোচিত হামলায়। পাল্টা মারে পাকিস্তানি সেনার কমপক্ষে সাতজন সেনা মারা গিয়েছেন বলে খবর। মৃতদের মধ্যে বেশিরভাগ পাকিস্তানের এসএসজি কমান্ডো বলেও জানিয়েছে সংবাদসংস্থা এএনআই।


আরও পড়ুন-  আড়াই হাজার কোটিরও বেশি! রাজ্যকে দ্বিতীয় দফায় আমফানের ক্ষতিপূরণ পাঠাল কেন্দ্র


ভারতীয় সেনা সূত্রে জানা যাচ্ছে, এদিন মর্টার-এর মাধ্যে ফায়ারিং শুরু করে পাকিস্তানি সেনা। তার পর গুলি ছুঁড়তে থাকে তারা। গরেজ ও উরি সেক্টরে ব্যাপক ফায়ারিং করে পাক সেনা। মৃত পাকিস্তানি সেনাদের মধ্যে অন্তত তিনজন এসএসজ কমান্ডো বলে জানা যাচ্ছে। ভারতীয় সেনা যে দুজন জওয়ান নিহত হয়েছেন তাঁরা নাম্বলা সেক্টরে কর্তব্যরত ছিলেন। দিওয়ালির আগে পাক সেনার এই বর্বরোচিত হামলা উত্সবের বাতাবরণে শোকের বার্তা মিশিয়ে দিল। শহীদ জওয়ান সুবোধ ঘোষের বাড়ি নদিয়ার তেহট্ট থানার এলাকা রঘুনাথপুর গ্রামে। তাঁর বাড়িতে শোকসংবাদ পৌঁছেছে।