নিজস্ব প্রতিবেদন - চার বছর আগেকার ঘটনা। ৮ নভেম্বর, ২০১৬ সালে রাত আটটায় দেশবাসীর উদ্দেশ্যে ১০ মিনিটের ভাষণ দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কিন্তু সেই ১০ মিনিটের ভাষণ ব্যতিব্যস্ত করে তুলেছিল দেশবাসীকে। প্রধানমন্ত্রী আচমকাই জানিয়েছিলেন পাঁচশো ও হাজার টাকার নোট আর বাজারে চলবে না। তাঁর সেই ঘোষণার পরই বাজারে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা ৮৬ শতাংশ কারেন্সি নোট স্রেফ কাগজের টুকরোতে পরিণত হয়েছিল। তারপরই নতুন কারেন্সি নোট বাজারে আনতে উঠে-পড়ে লাগে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া। এটিএম থেকে টাকা তোলা ও জমা করার লাইনে দাঁড়িয়ে সারা দেশে একশোর বেশি মানুষ মারা গিয়েছিলেন। তাঁদের মৃত্যুর কারণ অবশ্য ছিল আলাদা আলাদা। কেউ হার্ট অ্যাটাকে, কেউ স্ট্রোক-এ মারা যান। কিন্তু প্রত্যেকেই এটিএমের বা ব্যাংকের লাইনে দাঁড়ানো অবস্থাতেই মারা গিয়েছিলেন। আর তা নিয়েও হয়েছিল ব্যাপক রাজনীতি।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

নোটবন্দি দেশের কালো ধন ফেরত আনতে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে। এমনই দাবি করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া এক রিপোর্টে দাবি করেছিল, ৯৯ শতাংশ কারেন্সি নোট ব্যাঙ্কে ফেরত এসেছে। অর্থাৎ কালো ধন মানুষ সম্পত্তিতে রূপান্তরিত করে ফেলেছিল। এছাড়া নোটবন্দির জেরে ডিজিটাল পেমেন্ট বৃদ্ধি হয়েছে বলে দাবি করেছিল কেন্দ্রীয় সরকার। এমনকি করদতাদের সংখ্যাও বেড়েছিল বলে দাবি করা হয়েছিল। শুরুর দিকে সরকার এমন দাবি করেছিল যে, নোটবন্দির ফলে বাজারে চলতি নকল নোটের প্রকোপ কমবে।


আরও পড়ুন-  রমনের নোবেল পুরস্কার নেওয়ার ভিডিয়ো প্রকাশ্যে আনল স্টকহোম


বাস্তবে এক রিপোর্ট বলছে, নোটবন্দির জেরে দেশের জিডিপি গ্রোথ রেট অনেকটাই কমে গিয়েছিল। দেশের আর্থিক বিকাশ পাঁচ শতাংশ কমে যায়। নোটবন্দির সিদ্ধান্তে কয়েক মাসের জন্য ব্যবসায়ীদের প্রবল বিপদের মুখে পড়তে হয়। ২০১৬ সালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নোটবন্দির সিদ্ধান্তের পর থেকেই দেশের আর্থিক দুরবস্থা চলছে। এই দুরবস্থা কাটিয়ে ওঠার জন্য এখনও লড়ছে কেন্দ্রীয় সরকার ও দেশবাসী।