নিজস্ব প্রতিবেদন: করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৩৬০-র বেশি। সংক্রমণ রুখতে লকডাউন করে দেওয়া হল ৮০ টা শহর। রবিবার, কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তরফে রাজ্যগুলিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, ৭৫টি জেলা লকডাউন করার। যে সব জেলায় করোনা সংক্রমণের প্রবণতা বেশি কিংবা মৃত্যুর খবর মিলেছে, সেগুলিকে চিহ্নিত করে লকডাউন করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

তবে, বেশি কিছু রাজ্য নিজেরাই লকডাউনের পথে হেঁটেছে। পশ্চিমবঙ্গের পাশপাশি মহারাষ্ট্র, কেরল, গুজরাট, উত্তর প্রদেশ, হরিয়ানা, কর্ণাটক, তেলেঙ্গানা, রাজস্থান, অন্ধ্র প্রদেশ, জম্মু ও কাশ্মীর, লাদাখ, ওড়িশা, পুদুচেরি, উত্তরাখণ্ড। আগেই স্কুল, কলেজ, সিনেমা হল বন্ধ করার নির্দেশ দেওয়া হয়। এবার ৩১ মার্চ পর্যন্ত রেল, মেট্রো পরিষেবাও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। আন্তঃরাজ্য পরিবহণ সম্পূর্ণভাবে বন্ধ রাখা হচ্ছে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক তরফে বলা হয়েছে, এর জন্য যেন গরিব এবং অক্ষম মানুষের জীবনযাপনে প্রভাব না পড়ে। তদারকি করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রীয় শ্রম মন্ত্রককে।


আরও পড়ুন- জনতা কার্ফু দিয়ে শুরু; সামনে লম্বা লড়াই, দেশবাসীকে তৈরি থাকতে বললেন মোদী


করোনা আতঙ্কে প্রশ্ন উঠছে ভারত কতটা প্রস্তুত? আদৌ কি পরিকাঠামো রয়েছে? কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য আধিকারিক বলরাম ভার্গব জানালেন, দিনে ১০ হাজার করোনা পরীক্ষার পরিকাঠামো রয়েছে ভারতে। সপ্তাহে ৫০ থেকে ৭০ হাজার পরীক্ষা করা যাবে। বেসরকারি হাসপাতাল মিলিয়ে সংখ্যা আরও বেশি হবে বলে দাবি ভার্গবের। করোনা পরীক্ষায় ফ্রান্স, ইতালি, জার্মানির থেকেও ভাল পরিকাঠামো রয়েছে বলে দাবি করলেন তিনি। তবে, করোনা সংক্রামণ সন্দেহ হলেই পরীক্ষার প্রয়োজন নেই বলে জানান ভার্গব। তাঁর কথায়, ‘আমাদের প্রয়োজন ব্রেক দ্য চেন। অর্থাত্ করোনা সংক্রামণ ব্রেক করতে হবে। তার জন্য প্রয়োজন আসোলেশন, আইসোলেশন, আইসোলেশন।’