নিজস্ব প্রতিবেদন: জীবন দিয়ে সহ-নাগরিককে বাঁচানোর চেষ্টা করে গেলেন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের এক সদস্য। ৪০ বছরের এক ব্যক্তির জন্য হাসপাতালে শয্যা ছেড়ে দিয়েছিলেন বছর ৮৫-র নারায়ণ দাভালকর (Narayan Dabhalkar)। মঙ্গলবার মৃত্যু হয় তাঁর। ঘটনাটি মহারাষ্ট্রের নাগপুরের।                


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

গত ২২ এপ্রিল নাগপুরে ইন্দিরা গান্ধী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল কোভিড আক্রান্ত নারায়ণ দাভালকরকে (Narayan Dabhalkar)। শ্বাসকষ্ট হচ্ছিল তাঁর। তা সত্ত্বেও হাসপাতালে শয্যা ছেড়ে দিতে টান তিনি। ডাক্তাররা নিষেধ করলেও শোনেনি দাভালকর। কেন? হাসপাতালে দাভালকর দেখতে পান, নিজের বছর ৪০-র স্বামীকে ভর্তি করানোর জন্য কাতর মিনতি করছেন তাঁর স্ত্রী। এই দৃশ্য দেখার পরই দাভালকর (Narayan Dabhalkar) সিদ্ধান্ত নেন শয্যা ছেড়ে দেবেন। চিকিৎসকদের তিনি জানান,''আমার বয়স ৮৫। অনেক বেঁচেছি। ওই যুবকের জীবন বাঁচানো বেশি দরকার। ওদের ছেলেমেয়েও আছে। দয়া আমার বেডটা ওকে দিন।''               


রোগী থাকতে না চাওয়ায় হাসপাতাল ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়। তার ৩ দিন পরে মৃত্যু হয় দাভালকরের (Narayan Dabhalkar)। তাঁর মেয়ে আশাবরী কোটিওয়ানের কথায়, ''অনেক কষ্ট করে ২২ এপ্রিল হাসপাতালে একটা শয্যা পেয়েছিলাম। কিন্তু কয়েক ঘণ্টা পর বাড়িতে ফিরে আসেন বাবা। পরিবারের সঙ্গে শেষ মুহূর্ত কাটাতে চান বলে আমাদের জানান।''


হাসপাতাল সূত্রে খবর, দাভালকর শয্যা ছেড়ে দিয়েছেন বলে ওই ব্যক্তিকে তা দেওয়া হবে, এমনটা রীতি নেই। কাকে শয্য়া দেওয়া হবে, সেই সিদ্ধান্ত নেন চিকিৎসকরাই। দাভালকরকে কোভিড-১৯ ওয়ার্ডে নিয়ে যাওয়া হয়নি ক্যাসুয়ালটি বিভাগে ছিলেন তিনি। কেউ স্বেচ্ছায় শয্যা ছেড়ে দিলে অন্য কাউকে ভর্তি নেওয়ার সুযোগ তৈরি হয়।


দাভালকার রাজ্য সরকারের পরিসংখ্যান দফতরে কর্মরত ছিলেন। ছিলেন আরএসএসের সক্রিয় সদস্যও।    


আরও পড়ুন- জীবন বাঁচাতে পারে Covid রোগীর, ১ লাখ Portable Oxygen Concentrators কেনার নির্দেশ নমোর