নিজস্ব প্রতিনিধি : বয়স? সে তো একটা সংথ্যা মাত্র। ইচ্ছেটাই আসল। এই আপ্তবাক্য আরও একবার প্রমাণ করে গেলেন কেরলের কার্থায়িনি আম্মা। বয়স তাঁর ৯৬। গাঁটের ব্যথা, দুর্বল দৃষ্টিশক্তি, থরথরে শরীর এই বয়সে নিত্যসঙ্গী হওয়ার কথা। কিন্তু তিনি একটু আলাদা রকমের মানুষ। বলতে পারেন, ওয়ান্ডার উইমেন। প্রায় একশো ছুঁইছুঁই জীবনের সীমান্তে এসে তিনি এখনও দৃষ্টান্ত তৈরি করছেন। এক সাধারণ মানুষও যে কখনও কখনও রোলমডেল হয়ে উঠতে পারেন, সেটাই যেন প্রমাণ করে গেলেন কেরলের এই বৃদ্ধা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-  রাফাল, কৃষিঋণ নিয়ে ফের মোদীকে তুলোধনা রাহুলের


যৌবনে ইচ্ছা থাকলেও উপায় ছিল না। জীবনের বিভিন্ন ঘাত-প্রতিঘাতের মাঝে পড়াশোনার সুযোগ হয়নি। কিন্তু মনে মনে ইচ্ছা পুষে রেখেছিলেন। জীবনের কোনও এক সময় নিজেকে নিজে হয়তো কথা দিয়েছিলেন, একদিন সুযোগ হলে পড়াশোনা করবেন! সেটাই করলেন এই ৯৬ বছর বয়সে এসে। এই বয়সে তিনি ক্লাস থ্রি-র মৌখিক পরীক্ষা দিলেন। কার্থায়িনির ছবি ভাইরাল হল সোশ্যাল সাইটে। কয়েক ঘণ্টার মধ্যে গোটা দেশ থেকে তাঁর ইচ্ছাশক্তির প্রশংসা শুরু হল। শিক্ষাক্ষেত্রে দেশের প্রতিটা মানুষের কাছে এখন তিনি রোলমডেল। 


আরও পড়ুন-  রাজ্যের ১০ লাখ শ্রমিকের জন্য ‘টিফিন ‌যোজনা’ চালু করল ছত্তিসগঢ় সরকার


কেরলের লিটরেসি মিশনস অক্ষরলক্ষম স্কিমে নাম লিখিয়েছিলেন চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে। তার পর নিয়ম মেনে মৌখিক পরীক্ষায় বসলেন কার্থায়িনি। জেলার লোয়ার প্রাইমারি স্কুলে এর পর লিখিত পরীক্ষা দেবেন ৯৬ বছরের এই বৃদ্ধা। ছোট ছোট ছেলেমেয়েদের মাঝে বসে অবলীলায় পরীক্ষা দিলেন কার্থায়িনি। এমনকী, মৌখিক পরীক্ষায় ভাল ফলও করলেন তিনি। তবে এর পরও আম্মার মন ভাল নেই। কেন জানেন? আম্মার এক শিক্ষিকা বলছিলেন, ''ও মৌখিক পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য প্রচুর পড়াশোনা করেছিল। কিন্তু পরীক্ষায় তো ওকে মাত্র কয়েকটা প্রশ্নই করা হয়েছে। আম্মা সব প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন ঠিকঠাক। কিন্তু আম্মার আক্ষেপ, এত পড়াশোনা করে শেষে মাত্র এই কটা প্রশ্ন! তা হলে এত পড়াশোনা করে লাভ কী হল!''