বিদ্বেষ মন নিয়ে বিজ্ঞান সাধনা হয় না, রাহুলের ‘দর্শন’ তর্জমা করল দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রী
পড়ুয়াদের কাছে বিজ্ঞানের প্রকৃত অর্থ তুলে ধরলেন ওয়াইনাডের সাংসদ রাহুল। বললেন, বিজ্ঞানকে বুঝতে গেলে মুক্ত মনের প্রয়োজন। মনকে সঙ্কীর্ণতায় বাঁধলে চলবে না
নিজস্ব প্রতিবেদন: বৃহস্পতিবার নিজের কেন্দ্র ওয়াইনাডের একটি স্কুলে ল্যাবরোটরি উদ্বোধন করতে গিয়ে ছিলেন রাহুল গান্ধী। বক্তৃতা ইংরেজিতে দেবেন। কিন্তু পড়ুয়ারা সবাই যে ইংরেজি বোঝে, এমনটা নয়। তাহলে উপায়? তাঁকে সাহায্য করতে এগিয়ে আসে ওই স্কুলেরই দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রী সাফা সেবিন। সামনে দেশের অন্যতম জনপ্রিয় রাজনীতিক। তাঁর বক্তৃতা সবার সামনে মালয়ালিতে তর্জমা করাটা সহজ কাজ নয়! কিন্তু করে দেখাল সাফা। অত্যন্ত সাবলীল ভঙ্গিত।
পড়ুয়াদের কাছে বিজ্ঞানের প্রকৃত অর্থ তুলে ধরলেন ওয়াইনাডের সাংসদ রাহুল। বললেন, বিজ্ঞানকে বুঝতে গেলে মুক্ত মনের প্রয়োজন। মনকে সঙ্কীর্ণতায় বাঁধলে চলবে না। ঘৃণা, বিদ্বেষ পোষণের কোনও জায়গা নেই। শিশুদের চরিত্রের উদাহরণ টেনে রাহুল জানান, শিশু যেমন মুক্তমনে প্রশ্ন করে। সবকিছুতেই কৌতূহল দেখায়। এটাই প্রকৃত বিজ্ঞানমনস্ক চিন্তাভাবনা। উত্তরের চেয়ে প্রশ্ন বেশি হওয়া উচিত। বিজ্ঞানের অর্থ বোঝাতে গিয়ে রাহুল যেন মোদী সরকারকেই বিঁধতে চাইছেন!
আরও পড়ুন- লোকসভায় সোমবার পেশ নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল, বিরোধিতায় নামবে কংগ্রেস-তৃণমূল
শিক্ষক-শিক্ষিকাদের উদ্দেশে রাহুলের বার্তা, ছাত্র-ছাত্রীদের প্রশ্ন করার অবকাশ দিন। সেই প্রশ্ন বোকা-বোকা বলে উড়িয়ে দিলে চলবে না। বিজ্ঞান নিয়ে রাহুলের এই ব্যাখ্যা সাবলীল ভাবে তর্জমা করে গেল সাফা। তার এই কাজের জন্য রাহুলের প্রশংসাও কুড়াল সাফা। মঞ্চ থেকে নেমে বলে, জীবনের সবচেয়ে সেরা মুহূর্ত এটি। ভাবিনি এভাবে মঞ্চে আসব। খুব টেনশন হচ্ছিল। কিন্তু রাহুল গান্ধীই টেনশন কমিয়ে দেয়। সত্যিই তিনি ঠাণ্ডা মাথার মানুষ!