নিজস্ব প্রতিবেদন- ভিক্ষে করে জমানো টাকা। সঞ্চয় বলতে ওইটুকুই। বয়স বাড়ছে। কতদিন আর তিনি রাস্তায় ভিক্ষে করে বেড়াবেন। এখন তো আর শরীর দেয় না। আগের মতো সকাল-সন্ধ্যে তিনি আর ঘুরে ঘুরে ভিক্ষা চাইতে পারেন না। তাই ভেবেছিলেন, যে কটা দিন বাঁচবেন জমানো টাকা দিয়েই দিন গুজরান করে নেবেন। ভিক্ষুক বলে কি তাঁর জমানো টাকা থাকতে পারে না! তাঁর পরিশ্রমের টাকা। ঘুরে ঘুরে রাস্তায় ভিক্ষে করার ধকল কম নয়। তাই তিনি সঞ্চিত অর্থ অতি সাবধানে রেখেছিলেন। কিন্তু সমস্যায় ফেলল আচমকা বৃষ্টি। তাঁর এতদিনের জমানো টাকা বৃষ্টির জল পড়ে ভিজে গেল।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

কেরালার কোট্টায়ামের বৃদ্ধা ২৫ বছর ধরে ভিক্ষে করে জমিয়েছিলেন লাখ টাকা। মন্দিরে ভিক্ষে করেন তিনি। ছোট্ট ঘরে থাকেন একাই। বাড়ির চাল মেরামত করার সামর্থ নেই তাঁর। আর তাই বৃষ্টির জল ঢুকে পড়ে ঘরে। তাতেই একটি পোটলায় রাখা তাঁর সঞ্চিত অর্থ ভিজে যায়। পরে তিনি ঘর পরিষ্কার করার সময় সেই ভিজে পোটলা বের করে রোদে দেন। জানা গিয়েছে, সেই বৃদ্ধার পোটলায় পুরনো পাঁচশো, হাজার টাকার নোটও ছিল। ফলে প্রায় ৩২ হাজার টাকার নোট বাতিল হয়েছে। তবে নতুন নোটে রয়েছে এক লাখ দশ হাজার টাকার মতো। বৃদ্ধা গত ২৫ বছর ধরে শুধুই টাকা জমিয়েছেন। কখনও গুনেও দেখেননি আখেরে কত জমল!


আরও পড়ুন-  করোনায় নাজেহাল গোটা দেশ! কিন্তু ভারতের এই জায়গায় একজনও সংক্রমিত নয়


সেই বৃদ্ধার নামে ব্যাঙ্কে একটি অ্যাকাউন্ট খুলে দিয়েছে স্থানীয় পুলিস। বৃদ্ধার এক লাখ দশ হাজার টাকা সেখানে জমা করা হয়েছে। বৃদ্ধা জানিয়েছেন, ২৫ বছর ধরে তিনি অনেক কষ্ট করেছেন। তবে সঞ্চয়ের অভ্যাস ত্যাগ করেননি। রোজ একটু একটু করে সঞ্চয় করেছেন। কোনওদিন তিনি কম খেয়েছেন। কিন্তু টাকা ঠিক জমিয়েছেন।