নিজস্ব প্রতিবেদন- জীবিত অবস্থায় তিনি কেমন অবস্থায় ছিলেন তা এখন বলা মুশকিল। তবে খুব যে একটা ভাল অবস্থায় ছিলেন না হয়তো। কারণ তাঁর মৃত্যুর পরও দিনের পর দিন কেটে গেলেও কোনও আত্মীয় দেহ নিতে আসেনি। বেওয়ারিশ লাশ হয়ে তিনি দিনের পর দিন লাশকাটা ঘরে পড়ে ছিলেন। সেই ব্যক্তির এতটাই দুর্ভাগ্য যে তাঁর নামটাও কেউ জানতে পারল না। হয়তো জীবনের প্রতি তাঁর চরম অভিমান ছিল। হয়তো পরিজনদের প্রতিও। তবে জীবনও তাঁকে ছাড়েনি। এর থেকে বড় প্রতিশোধ আর কী হতে পারে! মৃত্যুর পর অন্তেষ্টিক্রীড়া হল না। কেউ তাঁর নাম জানল না। তিনি বেওয়ারিশ লাশ হয়ে রইলেন। আর শেষমেশ তাঁর সঙ্গে যেটা হল তা হয়তো কল্পনাও করতে পারবেন না। অন্তেষ্টির আশায় পড়ে থেকে সেই বেনামি ব্যক্তির লাশ কঙ্কালে পরিণত হল।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

মধ্যপ্রদেশের ইন্দোরের সব থেকে বড় সরকারি হাসপাতালের ঘটনা। সেখানে একজন ব্যক্তির মৃতদেহ অন্তেষ্টির আশায় পড়ে থেকে স্ট্রেচারেই কঙ্কালে পরিণত হয়ে গেল। মহারাজা যশবন্ত রাও হাসপাতালের এই ঘটনা গোটা দেশকে নাড়িয়ে দিয়েছে। সরকারি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বেপরোয়া মনোভাবের উদাহরণ ভুরি ভুরি রয়েছে। তবে এমন কাণ্ড যেন সব কিছু ছাপিয়ে গিয়েছে। দিনের পর দিন একজন ব্যক্তির মৃতদেহ মর্গে পড়ে কঙ্কাল হয়ে গেল। অথচ কারও কোনও হেলদোল ছিল না! বেওয়ারিশ লাশ হলেও কেন সেটির অন্তেষ্টির ব্যবস্থা করল না হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বা পুলিস! প্রশ্ন উঠছে।


আরও পড়ুন-  গত ৬ মাসে LAC-তে কোনও অনুপ্রবেশের ঘটনা ঘটেনি, বিরোধীদের জল্পনা উড়িয়ে জানাল কেন্দ্র


হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এখন গা ঝাড়ছে। হাসপাতাল সুপার দাবি করেছেন, তাঁরা কয়েকদিন ধরেই দুর্গন্ধে নাকাল হয়েছিলেন। কিন্তু বূঝতে পারেননি যে মর্গের এক কোনে পড়ে থাকা দেহটিতে পচন ধরতে শুরু করেছে। তবে এই ঘটনার তদন্ত করার জন্য একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই ঘটনায় হাসপাতালের কোনও কর্মীর গাফিলতি ধরা পড়লে তাঁকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সেই মৃতদেহটি সম্পর্কে কোনো তথ্য দিতে পারছে না। ব্যক্তির নাম, ঠিকানা তো দূরে থাক, কবে সেই দেহ মর্গে এসেছিল তারও তথ্য নেই তাদের কাছে।