নিজস্ব প্রতিবেদন: ঘটনাস্থল ঝাড়খণ্ডের রাঁচির রাঙামাটি গ্রাম। সোমবার সেখানে একটি মুণ্ডহীন মৃতদেহ উদ্ধার হয়। স্থানীয় বাসিন্দা পার্না লোহরা সিল্লি থানার পুলিশকে জানান, মৃতদেহটি তাঁর স্ত্রী সাকুরি দেবীর। তিনি জামাইয়ের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ আনেন।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন: আর বিদেশ সফর করবেন না প্রধানমন্ত্রী মোদী!


তদন্তে নামে পুলিশ। স্থানীয় বাসিন্দাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। পার্নার জামাই ফলেন্দ্র লোহার কেমন? তার সঙ্গে শ্বশুরবাড়ির লোকেদের কোনও গোলমাল ছিল কি না, তা প্রতিবেশীদের কাছ থেকে জেনে নেওয়ার চেষ্টা করে।


মঙ্গলবার পুলিশের হাতে ধরা পড়ে ফলেন্দ্র। তাকে জেরা শুরু করে পুলিশ। তদন্তকারীদের দাবি, তখনই উঠে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য। যা প্রাথমিক ভাবে পুলিশের বিশ্বাসই হচ্ছিল না।


পুলিশ জানিয়েছে, ফলেন্দ্র তন্ত্রসাধনার সঙ্গে যুক্ত ছিল। সে তান্ত্রিক হিসেবে আরও শক্তিশালী হতে চেয়েছিল। তাই শাশুড়ির মুণ্ডচ্ছেদ করে প্রথমে বলি দেয়। তার পর শাশুড়ির রক্তপান করে। পরে দেহটি ফেলে দেয়।


আরও পড়ুন: আইএসের নতুন মডিউলের খোঁজে ১৬ জায়গায় তল্লাশি অভিযানে NIA, গ্রেফতার পাঁচ


কিন্তু দেহ ফেলার সময় তাঁর শ্বশুর তাঁকে দেখে ফেলে। তখনই সে ঘটনাস্থল থেকে পালায়। আশ্রয় নেয় এক আত্মীয়ের বাড়িতে। সেখান থেকেই পুলিশ তাকে ধরে। পরে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।


তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, ঘটনাস্থল থেকে একটি হাঁস ও একটি বাছুরের মুণ্ডহীন মৃতদেহ পাওয়া গিয়েছিল। তার থেকেই তদন্তকারীদের অনুমান, ওই প্রাণী দু'টিকেও তন্ত্রসাধনার জন্য খুন করে রক্তপান করেছে ফলেন্দ্র।


আরও পড়ুন: ছত্তিসগড়ে কংগ্রেসের নিরক্ষর মন্ত্রীর হয়ে শপথবাক্য পাঠ রাজ্যপালের


এই ঘটনা সামনে আসতেই ওই এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায়। স্থানীয় মানুষও ঘটনাটি বিশ্বাস করতে পারছেন না।