নিজস্ব প্রতিবেদন: সচিন-সৌরভের জুটিকেও হার মানাচ্ছেন তাঁরা। সেই নয়ের দশক থেকে নরেন্দ্র মোদী-অমিত শাহ একসঙ্গে। গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীনও অমিত শাহই ছিলেন নরেন্দ্র মোদীর ডান হান। তাঁদের জুটি কি করতে পারে, তা ইতিমধ্যেই টের পেয়েছেন বিরোধীরা। এবার সেই জুটিই দেখা যাবে রাজ্যসভার অধিবেশনে। শুক্রবার শীতকালীন অধিবেশনে রাজ্যসভার ইনিংসে অভিষেক হল অমিতভাইয়ের। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

অভিষেকেই অমিত শাহ বুঝিয়েদিলেন, রাজ্যসভায় তিনি এসে গেছেন। এদিন ট্রেজারি বেঞ্চে ঠিক নরেন্দ্র মোদীর পাশেই আসন পেয়েছেন অমিত শাহ। আগে এই আসনে বসতেন বেঙ্কাইয়া নাইডু। তিনি এখন দেশের উপরাষ্ট্রপতি তথা পদাধিকার বলে রাজ্যসভার চেয়ারম্যান। এদিন তিনিও চেয়ারম্যান হিসাবে সভার কাজের দায়িত্ব গ্রহণ করলেন।


সংসদে ঢোকার পরই অমিত শাহকে স্বাগত জানান বিজেপি সাংসদরা। গত অগস্টে গুজরাট থেকে রাজ্যসভার সদস্য হিসেবে মনোনিত হয়েছেন অমিত শাহ। বর্তমানে সংসদের উচ্চকক্ষে বিজেপি সংখ্যালঘু। তাই গেরুয়া শিবিরের বলিষ্ঠ নেতৃত্বের প্রয়োজন। এদিন সংসদের উচ্চকক্ষে প্রবেশ করে সেকাজেই হাত দিলেন বিজেপির সাংগঠনিক প্রধান। জোটবদ্ধ বিরোধীদের ছত্রভঙ্গ করাই এবার অমিতের কাজ হতে চলেছে বলে মত রাজনৈতিক মহলের। অনেকেই ভাবছেন, অমিত শাহকে বোধহয় কেন্দ্রীয়মন্ত্রী করতে পারেন নরেন্দ্র মোদী। তবে সেই সম্ভবনা উড়িয়ে দিয়েছেন স্বয়ং বিজেপির 'চাণক্য'। অমিত  ইতিমধ্যেই জানিয়েছেন, দলের দায়িত্ব সামলেই তিনি খুশি। 


আরও পড়ুন- রঙ্গমঞ্চে রাহুল, সন্ন্যাসের পথে সনিয়া


রাজনৈতিক মহলের মতে, নরেন্দ্র মোদীর উত্থানের নেপথ্যে অনেকাংশেই রয়েছে অমিত শাহের মস্তিষ্ক ও হাতযশ। গত লোকসভা ভোটে উত্তরপ্রদেশে গেরুয়া ঝড় তোলার নেপথ্যেও ছিলেন তিনিই। তারপরই তাঁকে দলের সভাপতি করে দিল্লিতে আনেন নরেন্দ্র মোদী। বাকিটা ইতিহাস। বুথফেরত সমীক্ষা মিলে গেলে সোমবার গুজরাট ও হিমাচলপ্রদেশ বিজেপির দখলে যাবে। আর যদি তাই হয়, তাহলে গোটা দেশে ১৯টি রাজ্য ক্ষমতায় আসবে আডবাণী-বাজপেয়ীর হাতে তৈরি দল। যা ৫ বছর আগেও কেউ কল্পনা করতে পারেনি।