নিজস্ব প্রতিবেদন: হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে ত্রিপুরার ছাত্র দিলীপ। আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিল বলে জানা যায়। কিন্তু হঠাত্ কেন আত্মহত্যার পথ বেছে নিল বছর আঠারোর ওই ছাত্র? উত্তর খুঁজতে গেলে পৌঁছতে হবে আগরতলার একটি বেসরকারি স্কুলে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন- নোট বাতিলে আরবিআই পরিসংখ্যান পেশের পর নিজের আশঙ্কার কথা মনে করালেন মমতা


ত্রিপুরার বেসরকারি স্কুলের এক সহপাঠীর সঙ্গে দীর্ঘদিনের প্রেম ছাত্র দিলীপ সাহার। তবে, তাদের এই সম্পর্কের কথা আর পাঁচ কান হতে বাকি ছিল না। এ ক্লাস ও ক্লাস করে গোটা স্কুলেই চাউর হয়ে গিয়েছিল। এরপর এই খবর শিক্ষক-শিক্ষিকাদের কানেও পৌঁছয়। জানা গিয়েছে, তাদের প্রেমে বাধা দিতে প্রধান শিক্ষকও মদত দিতে থাকেন। কিন্তু যত প্রচেষ্টাই চলুক কৈশোরে প্রেমে এতটুকুও চিড় ধরেনি। কোনও উপায়েই বাধা না দিতে পেরে শেষ পর্যন্ত রাখী উত্সবের দিন 'মোক্ষম চাল' চালেন প্রধান শিক্ষক। সে দিন স্কুলের টিচার্স রুমে ডাকা হয় দিলীপ এবং ওই ছাত্রীকে। সেখানে উপস্থিত ছিল ছাত্রীর মা-বাবাও। সবার সামনে ওই ছাত্রীকে তার প্রেমিকার হাতে রাখি পরানোর নির্দেশ দেন প্রধান শিক্ষক। কিন্তু, এই প্রস্তাবে কোনও মতেই রাজি হয়নি দিলীপ। তবু জোর করে রাখি পরিয়ে দেওয়ায় অপমানে স্কুল ভবনের তিন তলা থেকে ঝাঁপ দেয় সে। এরপরই আশঙ্কাজনক অবস্থায় দিলীপকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।


আরও পড়ুন- রেকর্ড পতন! বিশ্ব বাজারে তেলের দর আকাশ ছুঁতেই মুখ থুবড়ে পড়ল টাকা


স্কুলের প্রধান শিক্ষকের এমন কাজে বিক্ষোভ দেখায় অন্যান্য ছাত্র-ছাত্রীরা। অভিভাবকরাও এই ঘটনার নিন্দা করেন। শিক্ষক শিক্ষিকাদের গ্রেফতারের দাবি তোলেন তাঁরা। ঘটনা খতিয়ে দেখতে তদন্তে নেমেছে পুলিস।