নিজস্ব প্রতিবেদন- ২০২০ সাল। দেশে বুলেট ট্রেন চলল বলে! চাঁদে পৌছে গিয়েছি আমরা। দিনরাত উন্নয়নের কথ বলছি। বলছি দেশের অগ্রগতির কথা। কিন্তু সত্যিই কি আমরা এগোচ্ছি! এই সমাজ কি সত্যিই এগিয়ে চলেছে! যদি সত্যিই তেমনটা হত তবে এমন মধ্যযুগীর বর্বরতার সাক্ষী হয়তো থাকতে হত না আমাদের। এই যুগে দাঁড়িয়ে একজন বিবাহিতা মহিলাকে তাঁর শ্বশুরবাড়ির লোকজন রাস্তায় মেরে শাস্তি দেয়। এমনকী সেই মহিলার কাঁধে তাঁর স্বামীকে চাপিয়ে দেওয়া হয়। তারপর আত্মীয়স্বজনরা সেই মহিলাকে মারতে মারতে সারা গ্রামে ঘোরায়। না, মধ্যযুগের কোনও ঘটনার বর্ণনা করা হচ্ছে না। বলা হচ্ছে, ২০২০ সালের এক বর্বরোচিত ঘটনার কথা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

মধ্যপ্রদেশের আদিবাসী অধ্যুষিত এলাকা ছাবুয়া। সেখানকার ছাপড়ি রণবাস নামের এক গ্রামে এমন ঘটনা ঘটেছে। ওই মহিলার শ্বশুরবাডড়ির লোকজন তাঁকে সন্দেহ করে। তাঁরা মনে করে, মহিলার গ্রামেরই এক যুবকের সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে। আর স্রেফ সন্দেহের বশেই তাঁকে সবাই মিলে শাস্তি দিল। ওই মহিলার ঘাড়ে চাপিয়ে দেওয়া হল তাঁর স্বামীকে। তার পর তাঁকে মারধর করে ঘোরানো হল সারা গ্রামে। মহিলার পিছনে লাঠি, ঝাঁটা নিয়ে ছিল একদল আত্মীয়। তারা সুযোগ পেলেই সেই মহিলাকে মারছিল। ওই মহিলা কোনওমতে আঁচল দিয়ে নিজের মুখ ঢেকে রেখেছিলেন। এমন অপমান কী আর সহ্য করা যায়!


আরও পড়ুন-  সন্দেহের বশেই নিরীহ যুবককে হাতুড়ি দিয়ি পিটিয়ে আধমরা করল গোরক্ষকরা, পুলিস দর্শক


মহিলাকে মারধরের একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছিল সোশ্যাল মিডিয়ায়। তার ভিত্তিতে পুলিস সেই মহিলার স্বামীসহ মোট সাতজনকে গ্রেফতার করেছে। সাতজনই মহিলার আত্মীয়। এই সাতজনের বিরুদ্ধেই একাধিক মামলা দায়ের করেছে পুলিস। জানা গিয়েছে, বছর তিনেক আগে  ছাপড়ি রণবাস গ্রামের বদিয়া নামের এক যুবকের সঙ্গে ওই মহিলার বিয়ে হয়েছিল। মহিলাকে তাঁর স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোক অনেকদিন ধরেই সন্দেহ করত। তারা এর আগেও তাঁর উপর মানসিক ও শারীরিক অত্যাচার করত। ওই মহিলা তাঁর স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকের বিরুদ্ধে পুলিসের কাছে অভিয়োগ দায়ের করেছিলেন।