ঝরঝরে ইংরেজিতে কথা বলছেন এই সবজি বিক্রেতা, পকেটে আবার পিএইচডি ডিগ্রি!
জানা গিয়েছে, ওই মহিলা লকডাউনে ফল আর সবজি বিক্রি করতে বাধ্য হয়েছেন।
নিজস্ব প্রতিবেদন- করোনার প্রকোপ কমাতে দেশের অনেক জায়গায় নতুন করে লকডাউন ঘোষণা করেছে প্রশাসন। বারবার লকডাউনের জেরে সাধারণ মানুষ পড়েছেন মহাবিপদে। একে তো এই করোনা পরিস্থিতিতে বহু মানুষ কাজ হারাচ্ছেন। তার উপর নতুন করে লকডাউন ঘোষণা এবার ছোট ও মাঝারি ব্যবসায়ীদের ব্যাপক ক্ষতির মুখে ফেলছে। তাঁদের ভবিষ্যত অনিশ্চিত হয়ে পড়ছে। তাই সরকারের লকডাউন থিওরি নিয়ে সমালোচনা করছেন একজন সবজি বিক্রেতা। তাও আবার ইংরেজিতে। হ্যাঁ, ঠিকই শুনেছেন। এই সবজি বিক্রেতা ঝরঝরে ইংরেজিতে সরকারের সিদ্ধান্তের সমালোচনা করছেন। ইন্দোরের এই সবজি বিক্রেতার সেই ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে।
জানা গিয়েছে, ওই মহিলা লকডাউনে ফল আর সবজি বিক্রি করতে বাধ্য হয়েছেন। তাঁর পকেটে রয়েছে পিএইচডি ডিগ্রি। তবুও তিনা চাকরি পাননি। এই দুঃসময়ে সংসার চালাতে সবজি বিক্রি করতে বাধ্য হয়েছেন। কিন্তু এখানেও বাধা। স্থানীয় প্রশাসন এসে তাঁকে সবজির গাড়ি তুলে নিতে বলেছে। সেই সবজি বিক্রেতা জানিয়েছেন, এমনিতেই করোনার জন্য বাজারে ভিড় নেই। তাঁর দোকানের সামনে লোকজনের ভিড় নেই। সবাই দূরত্ব বজায় রেখে দাঁড়িয়ে সবজি কিনছেন। তবুও প্রশাসন তাঁকে তুলে দিতে চাইছে। তা হলে তিনি এবার সংসার খরচ চালাবেন কী করে! আর এত সব কথা তিনি বলছেন ঝরঝরে ইংরেজিতে।
আরও পড়ুন- মৃত্যুর পরও আটজনকে বাঁচিয়ে গেলেন! কেরালার এই যুবক মানুষের রূপে মাসিহা
সেই মহিলা জানিয়েছেন, তিনি পদার্থবিদ্যায় মাস্টার অফ সায়েন্স করেছেন। তার পর আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ২০১১ সালে পদার্থবিদ্যায় পিএইচডি করেছেন। তার পরও চাকরি পাননি। সেই সবজি বিক্রেতা বললেন, ''বেসরকারি চাকরি করতে চাইনি। কিন্তু সরকারি চাকরি আমাকে কে দেবে! আমি তো মুসলিম। আমার নাম রায়সা আন্সারি। এমনিতেই মুসলিমরা করোনা ছড়াচ্ছে বলে চারিদিকে গুজব রটছে। আমিও মুসলিম। আর এটা জানার পরই কোনও কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় আমাকে চাকরি দিতে চায় না। এবার প্রশাসনই বলে দিক আমি কী করব! কোথায় যাব! সংসার তো চালাতে হবে।''