বাজারে রয়েছে আধার নম্বর তৈরির জাল সফটওয়্যার, দাবি বিদেশি সংবাদপত্রের
হাফিংটন পোস্টের তরফে জানানো হয়েছে। একাধিক বিশেষজ্ঞকে দিয়ে ওই জাল সফটওয়্যারটি পরীক্ষা করিয়েছে তারা। আসল সফটওয়্যারটি আধারের নিয়ামক সংস্থা UIDAI- তৈরি না করে না। ২০১৭ সালের শুরুর দিকে বাজারে আসে জাল সফটওয়্যারটি।
নিজস্ব প্রতিবেদন: হ্যাক হয়েছে আধার নথিভুক্তিকরণের সফটওয়্যারটি। যার ফলে যাবতীয় সুরক্ষাবিধি উপেক্ষা করে সহজেই তৈরি করা যাচ্ছে আধার নম্বর। মঙ্গলবার হাফিংটন পোস্টে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এমনটাই দাবি করা হয়েছে। প্রতিবেদকের দাবি, আধার নম্বর তৈরির সফটওয়্যারের একটি 'প্যাচ' তাদের হাতে এসেছে, যার মাধ্যমে যাবতীয় সুরক্ষাবিধি উপেক্ষা করে তৈরি করে ফেলা যাচ্ছে আধার নম্বর।
আধার নম্বর তৈরি করার জন্য আধার কেন্দ্রগুলিকে একটি সফটওয়্যার দেয় UIDAI. কাউকে নতুন আধার কার্ড করতে হলে একটি আবেদনপত্র ও প্রয়োজনীয় যাবতীয় নথি নিয়ে যেতে হয় আধার কেন্দ্রে। সেখানে ছবি তোলা, হাতে ১০ আঙুলের ছাপ ও চোখের মণির স্ক্যান করার পর মেলে আধার নম্বর। এর কোনও একটি বাদ গেলে আধার নম্বর তৈরি করতেই পারবেন না আধার কেন্দ্রে থাকা কর্মী। হাফিংটন পোস্টের দাবি, তাদের হাতে যে প্যাচটি এসেছে সেটি ব্যবহার করে একাধিক দরকারি নথি না থাকলেও তৈরি করে ফেলা যাচ্ছে আধার নম্বর। অর্থাত্ যাদের কাছে দরকারি নথি নেই তারাও সহজেই হাতে পেয়ে যাচ্ছে আধার। বেআইনি ভাবে আধার তৈরি করতে খরচ করতে হচ্ছে মাত্র ২,৫০০ টাকা।
এমনকী আধার তৈরির সফটওয়্যারের জিপিএস ফিচারও বিকল করে দেওয়া হয়েছে বলে দাবি। ওই ফিচারের ফলে কোথায় বসে আধার তৈরি হচ্ছে তা জানতে পারে UIDAI. এই ফিচারের জন্যই ভারতের বাইরে কোথাও ওই সফটওয়্যার ব্যবহার করে আধার তৈরি করা যায় না।
তেলেঙ্গানায় খাদে বাস পড়ে মৃত্যু ৩২ জন তীর্থযাত্রীর
হাফিংটন পোস্টের তরফে জানানো হয়েছে। একাধিক বিশেষজ্ঞকে দিয়ে ওই জাল সফটওয়্যারটি পরীক্ষা করিয়েছে তারা। আসল সফটওয়্যারটি আধারের নিয়ামক সংস্থা UIDAI- তৈরি না করে না। ২০১৭ সালের শুরুর দিকে বাজারে আসে জাল সফটওয়্যারটি।
বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, ২০১০ সালে বেসরকারি হাতে আধার তৈরির দায়িত্ব দেওয়ার সময় এনরোলমেন্ট ক্লায়েন্ট মাল্টি প্ল্যাটফর্ম নামে এই সফটওয়্যারটি প্রকাশ করে UIDAI. প্রতিটি কম্পিউটারে ইন্সটল করতে হত এই সফটওয়্যার। ক্লাউড বেসড ইন্সটলেশনের বদলে সফটওয়্যারটি ইন্সটলেশনের জন্য একটি ইন্সটলেশন প্যাকেজ বিলি করে UIDAI. এতেই পোয়াবারো হয় হ্যাকারদের। তারা ওই সফটওয়্যার প্যাকেজে কারচুপি করে বদলে ফেলে একাধিক কোড।