নয়া দিল্লি: দলের জাতীয় কার্যকরী কমিটি থেকে ইতিমধ্যেই বহিষ্কৃত তাঁরা দু'জন। আপ সুপ্রিমো অরবিন্দ কেজরিওয়ালের সঙ্গে তাঁদের কোন্দল এখন সবার জানা। কেজরিপন্থীদের সঙ্গে আপ-এর অন্যতম এই দুই প্রতিষ্ঠাতা সদস্যের বিরোধীতা এখন দেশীয় রাজনীতিতে চর্চার অন্যতম বিষয়। তবে, এখনও খাতায়, কলমে আম আদমি পার্টির সাধারণ সদস্য রয়েই গেছেন দু'জনেই। এই অবস্থায় আগামী ১৪ এপ্রিল আপ-এর 'বিদ্রোহী' দুই নেতা দলেই নিজেদের সমর্থকদের নিয়ে বৈঠক ডেকেছেন। জল্পনা সেই বৈঠকেই হয়ত অদূর ভবিষ্যতে আপ ত্যাগ করে নয়া রাজনৈতিক দল গঠনের সিদ্ধান্ত নেবেন প্রশান্ত ভূষণ, যোগেন্দ্র যাদব।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

এই বৈঠকে সম্ভবত সমাজকর্মী মেধা পাটকর ও আপ-এর প্রাক্তন অভ্যন্তরীণ লোকপাল অ্যাডমিরল এল রামদাসকেও যোগ দেওয়ার অনুরোধ জানাবেন যাদব-ভূষণ ডুও।


জাতীয় কার্যকরী কমিটি থেকে বহিষ্কারের পর রবিবার জাতীয় শৃঙ্খলা রক্ষা কমিটি থেকেও প্রশান্ত ভূষণকে বের করে দিয়েছেন কেজরিওয়াল। অভ্যন্তরীণ লোকপাল কমিটি থেকে সরানো হয়েছে রামদাসকে। শনিবার মেধা পাটকর নিজেই পদত্যাগ করেছেন আপ থেকে।


গত সপ্তাহেই আপ-এর অভ্যন্তরীণ কাদা ছোড়াছুড়ি সব মিডিয়ার সব লাইম লাইট কেড়ে নিয়েছিল। কার্যকরী সমিতি থেকে বহিষ্কৃত হওয়ার পর সাংবাদিকদের ডেকে যোগেন্দ্র যাদব ও প্রশান্ত ভূষণ দাবি করেন আপ-এ খুন হয়েছে গণতন্ত্র। অভিযোগ, এই দলে বিরুদ্ধমতের স্থান নেই। কেজরিওয়ালকে সরাসরি স্বৈরাচারী বলেন তাঁরা। এরপরেই সাংবাদিক সম্মেলন ডাকেন আপ-এর কেজরিপন্থীরা। তাঁরা পাল্টা অভিযোহ যাদব আর ভূষণ নাকি ষড়যন্ত্রকারী।  


আপ-এর ভাঙনের পর দিল্লি মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল অবশ্য সোমবার দাবি করেছেন তাঁর দল ঠিক কাজই করেছে।


আগামী ১৪ এপ্রিল বি আর আম্বেদকরের জন্মদিনে সমর্থক, স্বেচ্ছাসেবী ও শুভানুধ্যায়ীদের নিয়ে বৈঠক করবেন যাদব-ভূষণ। তবে এই বৈঠকের নির্দিষ্ট এজেন্ডা বা তাঁদের পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছেন দু'জনেই।


সংবাদসংস্থা পিটিআই-কে যোগেন্দ্র যাদব জানিয়েছেন আপ-এর কেজরি লবি এবার যেনতেন প্রকারে তাঁদের দু'জনকে দল থেকেই বার করে দিতে চাইবে। তিনি জানিয়েছেন তাঁরা প্রস্তুত এই ঘটনার সম্মুখীন হতে। তবে  তিনি সাফ জানিয়েছেন, তাঁদের নিজে থেকে পদত্যাগের কোনও প্রশ্নই নেই।


''গত এক মাসে যা যা ঘটল তার পরে যে এটাই হতে চলেছে তা বলাই বাহুল্য। আমাদের একঘরে করা সেই প্রক্রিয়ার একটা অংশমাত্র।'' বলেছেন যাদব।


যাদবের দাবি দলের হাজার হাজার সমর্থক এই ঘটনায় বীতশ্রদ্ধ। তাঁরাও এর থেকে বেড়িয়ে আসার রাস্তা খুঁজছেন।