নিজস্ব প্রতিবেদন: রাজ্যের মুখ্যসচিবকে হেনস্থার অভি‌যোগ মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল, উপমুখ্যমন্ত্রী মণীষ সিসোদিয়া সহ দলের ১১ বিধায়কের বিরুদ্ধে চার্জশিট দিয়েছে দিল্লি পুলিস। এনিয়ে বিব্রত মুখ্যমন্ত্রী। এর মধ্যে তাঁর ‌যন্ত্রণা আরও বাড়ালেন দলের গুরুত্বপূর্ণ নেতা আশুতোষ। ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে দল ছাড়ার কথা ঘোষণা করে দিলেন তিনি। আপ সূত্রে খবর, দল এখনও তাঁর ইস্তফাপত্র গ্রহণ করেনি।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

ব্যক্তিগত কারণ দেখালেও রাজনৈতিক মহলের ধারণা, রাজ্যসভায় সাংসদ নির্বাচনকে ঘিরে তাঁর সঙ্গে দলের সম্পর্কে ফাটল তৈরি হয়ে ‌যায়। গত জানুয়ারি মাসে রাজ্যসভার সংসদ হিসেবে ৭ বিশিষ্ট ব্যক্তির নাম বাতিল করে দেন কেজরিওয়াল। তখনই মনে করা হয়েছিল আশুতোষকে রাজ্যসভায় পাঠানো হতে পারে। শেষপ‌র্যন্ত দলের বরিষ্ঠ নেতা সঞ্জয় সিং, পেশায় ব্যবসায়ী সুশীল গুপ্তা ও চাটার্ড অ্যাকাউন্টট্যান্ট এন ডি গুপ্তার নাম চূড়ান্ত করা হয়। সম্ভবত ওই নির্বাচন নিয়েই আশুতোষের ক্ষোভ তৈরি হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।


আরও পড়ুন-‘চার বছরে দেশ অনেক বদলে গিয়েছে’


আপ ক্ষমতায় আসার পর থেকে বহু বিশিষ্ট ব্যক্তি দল ছেড়েছেন। এদের অনেকেরই ক্ষোভ খোদ কেজরিওয়ালের ওপরে। কিথুদিন আগেই দল ছেড়েছেন বিশিষ্ট কবি ও এক সময়ে কেজরির ছায়াসঙ্গী কুমার বিশ্বাস। প্রকাশ্য তিনি দলের বিরুদ্ধে তেমন কিছু না বললেও তিনি জানিয়েছিলেন, সত্যি কথা বলার জন্য তাঁকে দল শাস্তি দিচ্ছে।


কেজরি আভাসে ইঙ্গিতে দল পরিচালনার দিকে আঙুল তুললেও আশুতোষ তাঁর দল ছাড়ার ব্যাপারে খুব বেশি কিছু বলেনি। তবে তিনি টুইট করে জানিয়েছে, ‘প্রতিটি পথচলাই একটা শেষ থাকে।আপের সঙ্গে আমার সম্পর্ককে একটা বিপ্লব বলা ‌যায়। সেই ‌যাত্রা শেষ হল। দল ছেড়ে দিলাম। এই সিদ্ধান্ত একান্তই আমার ব্যক্তিগত। ‌যাঁরা এতদিন আমার পাশে ছিলেন তাদের ধন্যবাদ।’ অন্য একটি ট্যুইটে তিনি অনুরোধ করেছেন, ‘মিডিয়ার বন্ধুদের অনুরোধ, দয়াকরে আমার ব্যক্তিগত পরিসরে আসবেন না। এনিয়ে আমি কোনও বিবৃতি দেব না।’


এদিকে, আপ প্রধান অরবিন্দ কেজরিওয়াল জানিয়েছেন তিনি আশুতোষের ইস্তফাপত্র গ্রহণ করতে পারবেন না। ট্যুইট করে কেজরি জানিয়েছেন, তোমার ইস্তফা কীভাবে নেব। এই জীবনে তা নিতে পারব না।


অারও পড়ুন-ট্রেনে চড়ে গ্রেফতার কয়েক হাজার যাত্রী, জানাল রেল


উল্লেখ্য, এক সময়ের বিশিষ্ট সাংবাদিক আশুতোষ ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে দিল্লির চাঁদনিচক থেকে লড়াই করেছিলেন বর্তমান কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হর্ষ বর্ধনের বিরুদ্ধে। কিন্তু তিনি পরাজিত হন। তার পর থেকে বরাবরই প্রচারের বাইরেই থাকার চেষ্টা করেছেন এই আপ নেতা।