নিজস্ব প্রতিবেদন : অবশেষে বড় স্বস্তি অরবিন্দ কেজরিওয়াল শিবিরে। 'অফিস অফ প্রফিট' বা লাভজনক পদ মামলায় বিধানসভার সদস্যপদ হারানো ২০ জন আপ বিধায়ককে তাঁদের পদে বহাল করল দিল্লি হাইকোর্ট। শুক্রবার হাইকোর্টে বিচারপতি সঞ্জীব খান্না ও চান্দের শেখরের ডিভিশন বেঞ্চ এই রায় দেন। গত ১৯ জানুয়ারি নির্বাচন কমিশনের কথা মেনেই ২০ জন আপ বিধায়কের বিধানসভার সদস্যপদ বাতিল করেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

নির্বাচন কমিশনের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে মামলা করেন ওই বিধায়করা। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী তথা আপ সুপ্রিমো অরবিন্দ কেজরিওয়াল আদালতে কমিশনের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে বলেছিলেন, দিল্লিবাসীর রায়ে এই পদে আসিন হয়েছেন তাঁর দলের বিধায়করা। তাই এভাবে কাউকে তাঁর পদের থেকে সরানো যায় না।


আরও পড়ুন- আইএনএক্স মিডিয়া মামলায় জামিনে পেলেন কার্তি চিদাম্বরম


এরপরই ২৩ মার্চ মামলার রায় ঘোষণা করার দিন ধার্য হয়। এদিন, বিচারপতি সঞ্জীব খান্না ও বিচারপতি চান্দের শেখর বলেন, এক্ষেত্রে স্বাভাবিক ন্যয়বিচার লঙ্ঘিত হয়েছে। ওই বিধায়কদের দিল্লি বিধানসভার সদস্যপদ খারিজের আগে তাঁদের মৌখিক বক্তব্য পেশ করার সুযোগ দেওয়া হয়নি। তাই তা ন্যয়বিচারের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ হয়নি।


প্রসঙ্গত চলতি বছরের জানুয়ারিতে রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ নির্বাচন কমিশনের সুপারিশ মেনে লাভজনক পদ মামলায় ২০ আপ বিধায়কের বিধানসভার সদস্যপদ খারিজ করে দেন। কমিশন জানিয়েছিল, ২০১৫-র ১৩ই মার্চ থেকে ২০১৬-র ৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সংসদীয় সচিব পদে থাকায় তাঁরা লাভজনক পদে বহাল ছিলেন, তাঁদের বিধায়ক পদ চলে যাওয়া উচিত।