জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: এবার পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে সরাসরি প্রশ্ন গিরিরাজ সিং-এর। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গিরিরাজ সিং নিজের ট্যুইটারে তিনি লিখছেন, ‘শোনা গিয়েছিল সত্য তিক্ত তা শুনেছিলাম, কিন্তু সত্য দৃশ্যমান নয়, এটা প্রমাণ করছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। মমতাজি কি এই সব প্রশ্নের উত্তর দিতে চাইবেন?'


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

নিজের ট্যুইটারে তিনি বেশ কিছু প্রশ্ন তুলেছেন। সেখানে তিনি লিখেছেন, ইউপিএ সরকারে ১৪ হাজার কোটি টাকা দেওয়া হলেও বিজেপি সরকার গত ৯ বছরে ৫৪ হাজার কোটি টাকা দিয়েছে এমএনআরইজিএ-তে। তিনি বলেন এই টাকা ব্যবহার করে প্রাইভেট মুনাফাতে সাহায্য করা হয়েছে। তিনি দাবি করেন যে বেশ কয়েকবার পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে অ্যাকশন টেকেন রিপোর্ট দিতে বলা হলেও তা দেওয়া হয়নি।


আরও পড়ুন: Google Map: গুগল ম্যাপ ফলো করে গাড়ি নিয়ে সোজা নদীতে, মৃত্যু ২ ডাক্তারের!


গিরিরাজ আরও কিছু প্রশ্ন করেছেন পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের উদ্দেশ্যে। তিনি বলেন, কেন্দ্রীয় সরকার ৩০ হাজার কোটি টাকা দিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে। তইই আরও বলেন ইউপিএ সরকার মাত্র ৪ হাজার ৪০০ কোটি টাকা দিয়েছিল। তিনি আরও বলেন যে কেন্দ্রীয় সরকার গত ৯ বছরে পশ্চিমবঙ্গের মানুষের জন্য ৪৫ লাখ বাড়ি বানিয়েছে। তিনি মিডিয়া রিপর্ট তুলে ধরে প্রশ্ন করেছেন যে দুইতলা বাড়ি আছে এমন মানুষও আবাস যোজনার টাকা পেয়েছেন। তিনি আরও দাবি করেছেন যে পশ্চিমবঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকারের আবাস যোজনার নাম বদলে মানুষকে ঠকিয়েছেন। কেন্দ্রীয় গ্রামন্নয়ন মন্ত্রী সরাসরি সিবিআই তদন্তের দাবি করেছেন।  দিল্লিতে তৃণমূলের ধরনার দিনেই পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে পাল্টা প্রশ্ন করেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী।


আরও পড়ুন: TMC Delhi Chalo: পুলিসে ছয়লাপ রাজঘাট, রাজ্যের বকেয়া আদায়ে সত্যাগ্রহে তৃণমূল


প্রকল্পে যে টাকা দেওয়া হয়েছে তাঁর সমস্ত খতিয়ান তুলে ধরেছেন তিনি। তিনি দাবি করেছেন যে কোনও প্রকল্পে টাকা আটকে রাখা হয়নি।


 



গিরিরাজ সিং সাংবাদিকদের সামনে জানিয়েছেন, ‘এরা গরিবের হক লুঠ করতে শুরু করেন এমএনআরইজিএ-র নামে। এমএনআরইজিএ-তে আমরা ২০২২ সালের মার্চ মাস পর্যন্ত ৫৪ হাজার কোটি টাকা দিয়েছি। এখন মনে হচ্ছে সময় এসেছে যে এর তদন্ত সিবিআই-কে দিতে হবে’।


তিনি দাবি করেছেন যে মানুষকে ভুল বুঝিয়ে দিল্লিতে নিয়ে এসে দেশের মধ্যে অরাজকতা ছড়ানোর কাজ করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন কেন্দ্রীয় টিম তদন্তের জন্য রাজ্যে এলে তাঁদের সঙ্গে অসহযোগিতা করা হয়েছে।


তিনি স্পষ্ট বলেন ২৫ লক্ষ জবকার্ডে দুর্নীতি হয়েছে এবং যখন তদন্ত কমিটি গিয়েছিল তখন তাদেরকেও সহযোগিতা করা হয়নি।


রাজ্যের বকেয়া আদায়ে আজ দিল্লিতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ তৃণমূল নেতারা। কলকাতা থেকে বাসে চড়ে দিল্লি গিয়েছেন তৃণমূলের কর্মী-সমর্থক ও 'বঞ্চিতারা'। সোমবার সকালেই রাজঘাটে গান্ধীর সমাধিতে শ্রদ্ধা জানিয়ে অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্যায়ের নেতৃত্বে সেখানে সত্যাগ্রহ শুরু করেছেন তৃণমূল নেতারা। হাতে প্লাকার্ড ও কালো ব্যাজ পরে রাজঘাটে অবস্থান শুরু করেছেন তাঁরা।


বাংলার টাকা আটকে রেখেছে কেন্দ্র। সেই টাকা আদায়ের দাবিতেই অবস্থান বলে দাবি তৃণমূলের। তৃণমূল নেতাদের হাতে পোস্টার রিলিজ বেঙ্গলস মানি। বাংলার ১ লাখ ১৫ হাজার কোটি টাকা কোথায়? চারদিকে মোতায়েন বিপুল সংখ্যায় পুলিস। এনিয়ে তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, এত পুলিসে কেন। এখানকার লোকেরই অবাক হয়ে যাচ্ছেন।  এনিয়ে ডেরেক ওব্রায়েন বলেন, হাজার হাজার পুলিস এখানে রেখেছে। কিন্তু আমরা এখানে শান্তিপূর্ণভাবে সত্যাগ্রহ করতে এসেছি। আমাদের সাংসদ, বিধায়ক, নেতারা রয়েছেন। দুঘণ্টার জন্য এখানে আমরা বসব।            


(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)