নিজস্ব প্রতিবেদন: নরেন্দ্র মোদীর স্বাধীনতা দিবসের ভাষণের কোনও তাত্পর্য ছিল না বলে প্রতিক্রিয়া দিল কংগ্রেস। তাদের বক্তব্য, মোদীর ভাষণে কোনও বিষয়বস্তুই ছিল না। রাফাল, মধ্যপ্রদেশের ব্যপম, ছত্তিসগঢ়ের রেশনবণ্টন ব্যবস্থায় দুর্নীতির অভিযোগ তুলে মোদীকে বিঁধেছে কংগ্রেস। ডোকলামে চিনা আগ্রাসন নিয়েও মোদী সরকারকে কাঠগড়ায় তুলেছে রাহুল গান্ধীর দল।       


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

কংগ্রেসের মুখপাত্র রণদীপ সুরজেওয়ালা বলেন,''স্বাধীনতা দিবসে প্রধানমন্ত্রীর শেষ বক্তব্যে কোনও বিষয়বস্তু ছিল না। রাফাল, ব্যপম, ডোকলামে চিনা আগ্রাসন নিয়ে কোনও কথাই বলেননি মোদী। দেশজুড়ে ঘৃণার পরিবেশ তৈরি হয়েছে, তা নিয়েও মন্তব্য নেই তাঁর''।



রণদীপ সুরজেওয়ালার কথায়, ''নিজের শেষ ভাষণে সত্যি কথা বলতে পারতেন প্রধানমন্ত্রী। মনের কথা বলতে নাই বা পারলেন কাজের কথা তো বলতে পারলেন। অচ্ছে দিন তো আর এল না, এবার সচ্চে দিনের অপেক্ষায় গোটা দেশ। মোদী ক্ষমতা থেকে সরে যাওয়ার পর সত্যের দিন আসবে''।



এদিন লালকেল্লায় নিজের ভাষণে ইউপিএ সরকারকে বিঁধেছেন নরেন্দ্র মোদী। বিভিন্ন প্রকল্পের উল্লেখ করে তাঁর মন্তব্য, ২০১৩ সালে যে গতিতে কাজ চলছিল, তাতে ঘরে ঘরে বিদ্যুত্ পৌঁছনো, রান্নার গ্যাস পৌঁছতে কয়েক দশক লেগে যেত।নরেন্দ্র মোদী বলেন, ''আকাশ, সমুদ্র, সরকারি অফিস ও দেশ একই আছে, অথচ গত ৪ বছরে দেশ নতুন উদ্যমে এগিয়ে চলছে। এর ফলে দ্বিগুণ সড়ক নির্মাণ, রেকর্ড ফসল উত্পাদন ও মোবাইল ফোন উত্পাদনের সংখ্যাও বেড়ে দিয়েছে''।                           


প্রধানমন্ত্রী বলেন,''১৩ কোটি টাকা মুদ্রা ঋণ দেওয়া হয়েছে। তার মধ্যে ৪ কোটি ঋণ নিয়েছেন প্রথমবারের ঋণগ্রহীতারা। বদলে যাওয়ার পরিবেশের একটা আদর্শ উদাহরণ। ডিজিটাল ইন্ডিয়ায় ৩ লক্ষ গ্রামে শুরু হয়েছে কমন সার্ভিস সেন্টার। সেখানে কাজ পেয়েছেন প্রচুর যুবকযুবতীরা''। স্বচ্ছ ভারত প্রকল্পের কথা তুলে মোদী বলেন,''যখন স্বাধীনতা দিবসের মঞ্চে যখন স্বচ্ছ ভারতের কথা বলেছিলেন, অনেকে বলেছিলেন, এত তুচ্ছ বিষয় নিয়ে বলছেন প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, স্বচ্ছতার জন্য ৩ কোটি মানুষ মৃত্যুর হাত থেকে বাঁচতে পারেন''।  


বিশ্বের বৃহত্তম স্বাস্থ্য বিমা প্রকল্পের ঘোষণা করলেন নরেন্দ্র মোদী। লালকেল্লায় প্রধানমন্ত্রী বলেন,  দেশের ১০ কোটি পরিবার, প্রায় ৫০ কোটি নাগরিককে ৫ লক্ষ টাকার স্বাস্থ্য বিমা দেবে সরকার। প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা, ''আগামী ২৫ সেপ্টেম্বর দীনদয়াল উপাধ্যায়ের জন্মবার্ষিকীতে চালু হবে 'প্রধানমন্ত্রী জনআরোগ্য অভিযান'। আর চিকিত্সার জন্য ধার করতে হবে মধ্যবিত্ত ও গরিবদের''।


আরও পড়ুন- ২৫ সেপ্টেম্বর থেকে চালু হচ্ছে বিশ্বের বৃহত্তম স্বাস্থ্য বিমা প্রকল্প, ঘোষণা প্রধানমন্ত্রীর