নিজস্ব প্রতিবেদন: ফের স্বশাসিত প্রতিষ্ঠানে কেন্দ্রের হস্তক্ষেপের অভিযোগ উঠল। সরকারের সঙ্গে মতবিরোধ হওয়ায় জাতীয় পরিসংখ্যান কমিশনের (ন্যাশনাল স্ট্যাটিস্টিক্যাল কমিশন) কার্যনির্বাহী চেয়্যারপার্সন পিসি মোহনন এবং ইন্ডিয়ান স্ট্যাস্টিক্যাল সার্ভিসের প্রাক্তন সদস্য জেভি মীনাক্ষী পদত্যাগ করলেন। মোহনন সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ভোটের মুখে কর্মসংস্থানের রিপোর্ট প্রকাশে বাধা দিচ্ছে কেন্দ্র। তাঁর অভিযোগ, বেশ কিছু দিন ধরে তাঁর পদকেও গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে না। এমনকি মোহননকে কোণঠাসা করে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন- ভারতে সাম্প্রদায়িক হিংসা ছড়াতে ছক পাকিস্তানের মদতপুষ্ট জঙ্গিদের, দাবি মার্কিন গোয়েন্দা রিপোর্টে


সিবিআই, রিজার্ভ ব্যাঙ্কে কেন্দ্রের হস্তক্ষেপের বিতর্ক এখনও থামেনি। সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত গড়ায় বদানুবাদ। ফের নতুন করে মোহননের অভিযোগে মোদীসরকার বড়সড় ধাক্কা খেল বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। তাঁর কথায়, সব ধরনের পরিসংখ্যানের মাথা এই সংস্থা। কিন্তু তাকে যেনতেন প্রকারে বাধা দেওয়া হচ্ছে। মোহনন তাঁর ইস্তফার কারণও জানিয়েছেন। তিনি বলেন, কর্মসংস্থানের রিপোর্ট প্রকাশ করতে দেওয়া হয়নি। দ্বিতীয়, ২০১৭-১৮ বর্ষে ন্যাশনাল স্যাম্পল সার্ভের অফিসের বেকার এবং কর্মসংস্থানের একটি রিপোর্ট ডিসেম্বরে অনুমোদন করে এনএসসি। কিন্তু সে রিপোর্টও এখনও পর্যন্ত প্রকাশ করা হয়নি।


আরও পড়ুন- প্রয়াগে পুণ্যস্নান সারলেন সপার্ষদ যোগী আদিত্যনাথ, দেখুন ভিডিয়ো


সংস্থার কার্যক্ষেত্রে হস্তক্ষেপের পাশাপাশি অভিযোগ তোলা হয় পরিকাঠামোর রক্ষণাবেক্ষণে গড়িমসির। মোহনন এবং মীনাক্ষীদেবীর ইস্তফার আগেই ৭ সদস্যে এনএসসি কমিশনে ৩ টি পদ শূন্য রয়েছে। যা এখনও পর্যন্ত পূরণ করা হয়নি বলে অভিযোগ। উল্লেখ্য, মোদী জমানায় জিডিপি জরিফ এবং ভিত্তি বর্ষ নতুন করে বানিয়ে বিতর্কের মুখে পড়ে কেন্দ্র। নয়া রিপোর্টে দেখানো হয়েছে, মনমোহন সিংয়ের দ্বিতীয় ইউপিএ সরকারের জিডিপি-র হার তুলনায় বেশি মোদী সরকারের।