নিজস্ব প্রতিবেদন: লোকসভায় কংগ্রেসের দলনেতা হয়েছেন বহরমপুরের সাংসদ অধীর চৌধুরী। বহরমপুরে এবার প্রতিকূল পরিস্থিতিতে একা হাতে দূর্গ সামলেছেন। তাঁর পিঠ চাপড়ে প্রশংসা করেছেন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেই অধীর চৌধুরীই বড় দায়িত্ব পেয়ে জানালেন, দলের সৈনিক তিনি। সৈনিক সবসময় সামনে থাকে। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

লোকসভায় বিজেপির পর দ্বিতীয় বৃহত্তম দল কংগ্রেস। তবে বিরোধী দল হওয়ার জন্য ন্যূনতম আসন জোগাড় করতে পারেনি তারা। মঙ্গলবার লোকসভায় কংগ্রেসের দলনেতা হন অধীর চৌধুরী। তাঁর প্রতিক্রিয়া, আমাকে একটা দায়িত্ব (লোকসভার দলনেতা) দিয়েছে দল। সামনে থাকতে বলা হয়েছে। বলেছি, ঠিক আছে। আমি পদাতিক সৈনিক। সৈনিকরা আগেই থাকে। পদাতিক সৈনিক বিসেবে লড়াই করব। 



প্রথম মোদী সরকারের জমানায় লোকসভায় কংগ্রেসের দলনেতা ছিলেন দক্ষিণের মল্লিকার্জুন খাড়গে। এবার তিনি জিততে পারেননি। ফলে লোকসভায় কংগ্রেসের দলনেতা কে হবেন, তা নিয়ে চলছিল জল্পনা। মঙ্গলবার সকালে জানা যায়, অধীর চৌধুরীর নামেই পড়তে চলেছে শিলমোহর। সকালে অধীর চৌধুরীকে ১০ জনপথে ডেকে পাঠান সনিয়া গান্ধী। সেখানে দলীয় বৈঠকে তাঁকে দায়িত্ব দেওয়ার কথা জানান ইউপিএ চেয়ারপার্সন।



শতাব্দী প্রাচীন কংগ্রেসে অধীর চৌধুরীই দ্বিতীয় বাঙালি, যিনি দলনেতার দায়িত্ব পেলেন। এর আগে প্রণব মুখোপাধ্যায় ছিলেন কংগ্রেসের দলনেতা। তবে প্রণববাবু যখন দলনেতা ছিলেন, তখন কংগ্রেস ক্ষমতায়। অধীরবাবুর কাছে পরিস্থিতি একেবারে ভিন্ন। লোকসভায় কংগ্রেসের সাংসদ সংখ্যা নগণ্য। হাতেগোনা সৈনিক নিয়েই শাসক শিবিরকে চাপে রাখতে হবে বহরমপুরের সাংসদকে। টানা পাঁচবার বহরমপুর থেকে জিতছেন অধীর চৌধুরী। কেন্দ্রে প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব সামলেছেন। পশ্চিমবঙ্গে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতিও ছিলেন অধীরবাবু। তবে কংগ্রেসের ৫২ সাংসদের মধ্যে অধীরের নামে শিলমোহর বেশ চমকের।


এবার মোদী ঝড়ের ধাক্কায় কংগ্রেসের রথীমহারথীরা দুর্গ ধরে রাখতে পারেননি। জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া, মিলিন্দ দেওড়াদের মতো মুখরাও পরাজিত। তিরুঅনন্তপুরমের সাংসদ শশী থারুর অভিজ্ঞ হলেও তাঁকে ঘিরে জড়িয়ে একাধিক বির্তক। সে কারণে সাহসী অধীরকেই বেছে নিলেন সনিয়া গান্ধী। আর দু'দিন আগে অধীরের প্রশংসায় 'যোদ্ধা' তকমা দিয়েছিলেন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।


আরও পড়ুন- কলকাতায় কাউন্সিলরদের সভায় মমতা, দিল্লিতে বনগাঁ পুরসভা ও বিধায়ক ভাঙালেন মুকুল