নিজস্ব প্রতিবেদন : ধর্মীয় সহিষ্ণুতার পর মানবিকতা পক্ষে সওয়াল। ফের একবার সবার মন জিতে নিল সংসদে কংগ্রেসের পরিষদীয় দলনেতা অধীর চৌধুরীর বক্তব্য। সংসদে শুধু সাংসদরা যান না, কাজ করেন না বা থাকেন না। সংসদে যান, কাজ করেন অনেক সাধারণ কর্মীও। এদিন লোকসভায় বক্তব্য রাখতে উঠে তাঁদের হয়ে সওয়াল করেন অধীর চৌধুরী। জানান, অভুক্ত অবস্থায় গভীর রাত পর্যন্ত কাজ করতে হয়েছে তাঁদের।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

কী বলেন অধীর চৌধুরী?
কংগ্রেসের পরিষদীয় দলনেতা বলেন, জেনারেল বাজেটের উপর চর্চার জন্য ট্রেজারি বেঞ্চ ৮ ঘণ্টা সময় প্রস্তাব করেছিল। সাংসদরা সেটিকে বাড়িয়ে ১০ ঘণ্টা করার কথা বলেন। যাতে সবাই অংশগ্রহণ করতে পারেন, আরও বেশিমাত্রায় আলোচনা সম্ভব হয়, সেই কারণে অধ্যক্ষ ১২ ঘণ্টা আলোচনার প্রস্তাব দেন। কিন্তু কাল একটি ঘটনা ঘটে।


কী ঘটে গতকাল সংসদে?
অধীর চৌধুরী জানান, মঙ্গলবার রাত সোয়া ১১টা অবধি লোকসভা চলে। তারপর সাংসদদের জন্য খাবারের বন্দোবস্ত থাকলেও, লোকসভা ভবনে কর্মরত কর্মীদের জন্য কোনও নৈশ আহারের ব্যবস্থা ছিল না। এমনকি অত রাতে, লোকসভা থেকে বেরিয়ে তাঁদের বাড়ি ফেরার জন্যও কোনও ব্যবস্থা ছিল না। কোনও বাস, ট্রেন কিছুই ছিল না। এরফলে অসুবিধার মধ্যে পড়েন তাঁরা। আগামিদিনে বেশি রাত পর্যন্ত অধিবেশন চলার সময় এই বিষয়টি অধ্যক্ষকে নজরে রাখার জন্য অনুরোধ করেন তিনি।   



প্রসঙ্গত, লোকসভায় কংগ্রেসের পরিষদীয় দলনেতা হিসাবে তাঁর প্রথম ভাষণে ধর্মীয় সহিষ্ণুতার বার্তা দেন অধীর চৌধুরী। হিন্দি কবিতার পংক্তি উল্লেখ করে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বার্তা দেন। বলেন, "যখন মানুষ মানুষের মধ্যে শুধু মানুষকে দেখতে পাবে। তখন দুনিয়া বদলে যাবে।" ভারতের মতো বহুদলীয় গণতন্ত্রের দেশে  সংসদের মর্যাদা অক্ষুণ্ণ রাখতে নিরপেক্ষ থাকার অনুরোধ করেন তিনি। সংসদে অধীর চৌধুরীর প্রথম দিনের সেই ভাষণ সবার প্রশংসা কুড়ায়। আরও পড়ুন, কর্নাটকের নাটক পৌঁছল মুম্বইয়ে, বিধায়কদের সঙ্গে কংগ্রেস নেতাকে দেখা করতে দিল না পুলিস