নিজস্ব প্রতিবেদন: আরও একবার বিতর্কিত মন্তব্য করে দলকে বিড়ম্বনায় ফেললেন অধীর চৌধুরী। কাশ্মীরের বর্তমান পরিস্থিতির সঙ্গে হিটলারের নাৎসি বাহিনীর কনসেনট্রেশন ক্যাম্পের তুলনা করলেন লোকসভায় কংগ্রেসের দলনেতা। মঙ্গলবার কাশ্মীরে রাষ্ট্রসঙ্ঘ নজরদারি করছে বলে লোকসভায় বিতর্কে জড়িয়েছেন বহরমপুরের সাংসদ।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে অধীর চৌধুরী বলেন,'লালকেল্লায় ভাষণে নরেন্দ্র মোদী ঘোষণা করেছিলেন, কাশ্মীরে গুলি চলবে না। কাশ্মীরিদের গলায় জড়িয়ে নেব। কিন্তু এখন  কনসেনট্রেশন ক্যাম্পের (নাৎসিবাহিনীর বন্দিশিবির) মতো অবস্থা। এমনটা কখনও হয়েছে? কাশ্মীরে অমরনাথ যাত্রা করতে পারেননি হিন্দুরা। আজ পর্যন্ত এমনটা হয়নি। দেশে এই ধরনের পরিবেশ তৈরি করা হচ্ছে। ফলে ভারতের উপরে প্রশ্ন তোলার সুযোগ পাচ্ছে অন্যরা।'


 



মঙ্গলবার লোকসভায় বিতর্কে জড়ান অধীর চৌধুরী। অনুচ্ছেদ ৩৭০ রদ নিয়ে আলোচনায় কংগ্রেসের দলনেতা বলেন, 'কাশ্মীর কীভাবে অভ্যন্তরীণ সমস্যা হতে পারে। ১৯৪৮ সাল থেকে নজরদারি করছে রাষ্ট্রসঙ্ঘ।' অধীরের এমন বেফাঁস মন্তব্যে সুবিধা পেয়ে যায় বিজেপি। পাকা রাজনীতিকের মতোই তত্ক্ষণাত্ অমিত শাহ জবাব দেন, কংগ্রেসকে জানাতে হবে কাশ্মীরের উপরে রাষ্ট্রসঙ্ঘ নজরদারি করতে পারে বলে মনে করছে তারা। এরপর কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী উচ্চগ্রামে বলেন, 'পাক অধিকৃত কাশ্মীরও আমাদের। জম্মু-কাশ্মীর বলতে পাক অধিকৃত কাশ্মীরকেও বোঝাই। পাক অধিকৃত কাশ্মীরের জন্য প্রাণ দিয়ে দেব।'


তবে অধীরের এমন বেঁফাস মন্তব্য বিরক্তি প্রকাশ করেন সনিয়া গান্ধী। পরে আবার অধীর সাফাই দেন, কাশ্মীর দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়। রাষ্ট্রসঙ্ঘে নালিশ গেলে কীভাবে সরকার মোকাবিলা করবে, তা জানতে চেয়েছি। এবার ফের কনসেনট্রেশন ক্যাম্প বলে বিতর্কের সৃষ্টি করলেন অধীর। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় হিটলারের জার্মানিতে যুদ্ধবন্দিদের উপরে অকথ্য অত্যাচার চালানো হতো কনসেনট্রেশন ক্যাম্পে।


আরও পড়ুন- অনুচ্ছেদ ৩৭০ আর নেই, নতুন কাশ্মীরের স্বপ্ন ফেরি মোদীর, জেনে নিন ২০টি পয়েন্টে