নিজস্ব প্রতিবেদন: গত ২০ দিনে একাই সরকার চালাচ্ছিলেন বিএস ইয়েদুরাপ্পা। এর জন্য বিরোধীদের কাছে দিনভর কটাক্ষ শুনতে হয় তাঁকে। সোমবার তড়িঘড়ি অমিত শাহের কাছে সম্মতি নিয়ে মন্ত্রিসভার তালিকা প্রকাশ করলেন তিনি। নির্দল বিধায়ক এইচ নগেশ এবং প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জগদীশ শেত্তার-সহ বিজেপির ১৭ বিধায়ক মন্ত্রিসভায় জায়গা পান। আজ তাঁদের শপথবাক্য পাঠ করালেন রাজ্যপাল বাজুভাই বালা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING


উল্লেখ্য, গত একমাস ধরে সরকার তৈরি নিয়ে চাপান-উতর চলে কর্নাটকে। কংগ্রেস-জেডিএস জোট সরকারের বিধায়করাই বিদ্রোহ ঘোষণা করে ইস্তফা দেন। প্রাক্তন স্পিকার রমেশ কুমারের বিরুদ্ধে ইস্তফাপত্র গ্রহণে গরিমসির অভিযোগ তুলে সুপ্রিম কোর্টে দ্বারস্থ হন বিদ্রোহী বিধায়করা। বিজেপির বিরুদ্ধে ঘোড়া কেনা-বেচার অভিযোগ তোলে কংগ্রেস ও জেডিএস। তবে, শেষমেশ বিদ্রোহী ১৭ বিধায়কের ইস্তফাপত্র গ্রহণ করেন রমেশ কুমার এবং তাঁদের দলত্যাগ বিরোধী আইনে বিধায়ক পদ খারজি করে দেয়।



আরও পড়ুন- প্রবল চাপে মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী, ব্যাঙ্ক জালিয়াতির অভিযোগে গ্রেফতার কমলনাথের ভাগ্নে রাতুল


যার জেরে আস্থা ভোটে কংগ্রেস ও জেডিএস জোট সংখ্যাগরিষ্ঠতা জোগাড় করতে ব্যর্থ হয়। নির্দল বিধায়কের সমর্থন নিয়ে সহজেই সরকার গড়ে বিজেপি। চতুর্থ বারের জন্য মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথগ্রহণ করেন বিএস ইয়েদুরাপ্পা। কিন্তু এত দিন বিনা মন্ত্রিসভায় একাই সরকার চালান ইয়েদুরাপ্পা। উল্লেখ্য, ইয়েদুরাপ্পা দায়িত্ব নেওয়ার পর পরই কর্নাটকে ভয়াবহ বন্যার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। কমপক্ষে ৮০ জনের মৃত্যু হয়েছে। বন্যা মোকাবিলায় সরকারের ব্যর্থতার অভিযোগ তুলে ইয়েদুরাপ্পাকে একহাত নেন বিরোধীরা। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা কংগ্রেস নেতা সিদ্দারামাইয়ার প্রশ্ন, মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ নিতে যে তাড়া দেখা গিয়েছিল, মন্ত্রিসভা তৈরিতে সেটা দেখা যাচ্ছে না কেন? তাঁর কথায়, রাজ্যে বন্যা ও খরা দুই দেখা দিয়েছে। কিন্তু প্রশাসনিক কাজকর্ম কার্যত স্তব্ধ হয়ে গিয়েছে। এটা গণতন্ত্র না স্বৈরাতন্ত্র চলছে?