সিবিএসই-র শীর্ষ স্থানাধিকারীর পর হরিয়ানায় ফের গণধর্ষণের অভিযোগ
পুলিসের দাবি অনুযায়ী, মহিলা দুই আগন্তুকের থেকে চিকিত্সা সংক্রান্ত সাহায্য নিতে রাজি হয়। মহিলাকে ওই দুই যুবক বলে, তারা জুলনার পলি গ্রামের অধিবাসী। মহিলার অভিযোগ অনুসারে, এরপরই ওই দুই ব্যক্তি তাঁকে একটি ক্ষেতে নিয়ে যায় ও গণধর্ষণ করা হয়।
নিজস্ব প্রতিবেদন: হরিয়ানায় সিবিএসই শীর্ষ স্থানাধিকারী ছাত্রীকে গণধর্ষণের কয়েক দিনের মধ্যেই রাজ্যে ফের গণধর্ষণের অভিযোগ। জিন্দের জুলানা এলাকায় ওই বিধবাকে দুই ব্যক্তি জোর করে ক্ষেতের মধ্যে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় ইতিমধ্যে পুলিসের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছেন নির্যাতিতা।
জুলানার পুলিস অফিসার সুরেন্দ্র সিং টেলিফোনে জানিয়েছেন, "জিন্দের মহিলা থানায় এই অভিযোগটি পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। সেখানেই বিষয়টি নথিভুক্ত হয়েছে"। এরপর মহিলা থানার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে জানা যায়, অভিযোগকারিণীর অভিযোগে অনুযায়ী ঘটনাটি সোমবার ওষুধ কিনে ফেরার পথে ঘটেছে। মহিলা থানার এক আধিকারিকের কথায়, "অভিযোগ থেকে জানা যাচ্ছে, ওই মহিলা সেদিন জুলানায় ওষুধ কিনতে এসেছিলেন। তিনি যখন কেমিস্টের দোকানের কাছাকাছি এসে গিয়েছেন, সে সময় বাইক বাহিত দুই যুবক তাঁর কাছে আসে। এরপর রোগের বিষয়ে জানতে চায় এবং বিকল্প চিকিত্সার সন্ধান দেয়।" পুলিসের দাবি অনুযায়ী, মহিলা এই দুই আগন্তুকের থেকে চিকিত্সা সংক্রান্ত সাহায্য নিতে রাজি হয়। মহিলাকে ওই দুই যুবক বলে, তারা জুলনার পলি গ্রামের অধিবাসী। মহিলার অভিযোগ অনুসারে, এরপরই ওই দুই ব্যক্তি তাঁকে একটি ক্ষেতে নিয়ে যায় ও গণধর্ষণ করা হয়। আরও পড়ুন- পুরসভার সিল ভেঙে বিপাকে দিল্লি বিজেপির সভাপতি, দায়ের এফআইআর
পুলিস জানিয়েছে, দুই অভিযুক্তকেই চিহ্নিত করা গিয়েছে। এখন তাদের গ্রেফতার করার চেষ্টা করা হচ্ছে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৬-ডি (গণধর্ষণ), ৩৬৬ (অপহরণ) এবং ৩৪ (খারাপ উদ্দেশ্যে একাধিক ব্যক্তি মিলে কিছু করা) ধারায় মামলা দায়ের হয়েছে। আরও পড়ুন- গোয়ার নেতৃত্ব খুঁজতে নয়া ফরমুলার খোঁজ অমিত শাহের
উল্লেখ্য, এই হরিয়ানাতেই গণধর্ষণের শিকার হন সিবিএসই-তে শীর্ষ স্থানাধিকারী ১৯ বছরের ছাত্রী, এমনটাই অভিযোগ। খবরটি প্রকাশ্যে আসে ১৪ সেপ্টেম্বর। জানা যায়, ১২ সেপ্টেম্বর দ্বিতীয় বর্ষের ওই ছাত্রী রিওয়ারিতে তাঁর গ্রামের কাছেই একটি কোচিং সেন্টার থেকে ফিরছিল। সে সময় তিন যুবক একটি গাড়িতে করে এসে দাঁড়ায় এবং ছাত্রীটিকে টেনে হিঁচড়ে ক্ষেতের মধ্যে নিয়ে যায়। সেখানেই গণধর্ষণ করা হয় তাঁকে। তিন যুবক যখন ছাত্রীটিকে ক্ষেতে টেনে নিয়ে যায়, তখন সেখানে উপস্থিত অন্যান্য পুরুষরাও তাঁকে ধর্ষণ করে। অভিযোগকারিণীর দাবি, ধর্ষকরা সকলেই তাঁর গ্রামের। হরিয়ানার এই কৃতী ছাত্রীকে পুরস্কৃত করেছিলেন স্বয়ং রাষ্ট্রপতি। গ্রামের মেধাবী ছাত্রীর জীবনে এমন দুর্বিষহ অভিজ্ঞতায় ভেঙে পড়েছে তাঁর পরিবার। সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে ক্ষোভে যন্ত্রণায় কাতর ছাত্রীটির মা বলেন, "আমার মেয়ে সিবিএসই-তে শীর্ষ স্থান অধিকার করেছিল, স্বয়ং মোদীজির হাত থেকেও পুরস্কার নিয়েছে। মোদীজি বলেন, বেটি পড়াও, বেটি বাঁচাও। কিন্তু, তা আর কীভাবে সম্ভব? আমি বিচার চাই..."। তবে এই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত ইতিমধ্যে গ্রেফতার হয়েছে।