Nupur Sharma: পয়গম্বর মহম্মদকে নিয়ে মন্তব্যের জেরে দেশজুড়ে `ধুন্ধুমার`, এখন কোথায় নূপুর শর্মা?
বিজেপির এই সাসপেন্ডেড নেত্রীর অভিযোগ, তাঁর কাছে একের পর এক হুমকি ফোন আসছে। এরপরই দিল্লি পুলিশের কাছে নিরাপত্তার জন্য আবেদন করেন তিনি। সংবাদমাধ্যমের কাছে আবেদন করেন, যেন তাঁর বাড়ির ঠিকানা এবং ফোন নম্বর জনসমক্ষে প্রকাশ করা না হয়।
জ্যোতির্ময় কর্মকার: পয়গম্বর মহম্মদকে নিয়ে নূপুর শর্মার মন্তব্য ঘিরে বিতর্ক। বিদেশের মাটিতে বেকায়দায় মোদী সরকার। দেশের অন্দরেও শুরু হয়েছে অশান্তি। সাঁড়াশি আক্রমণের মখে পড়ে নূপুর শর্মাকে পার্টি থেকে সাসপেন্ড করেছে বিজেপি। দায়ের হয়েছে এফআইআর। এখন প্রশ্ন, যার মন্তব্যে বিতর্কের সূত্রপাত, বর্তমানে কোথায় রয়েছেন তিনি?
নূপুর শর্মার মন্তব্য ঘিরে বিতর্কের পরেই গৃহবন্দি বিজেপির এই সাসপেন্ডেড নেত্রী। সূত্রের খবর, দিল্লি পুলিশের কড়া নিরাপত্তার ঘেরাটোপে নিজের বাড়িতে স্বেচ্ছা গৃহবন্দি রয়েছেন তিনি। নিরাপত্তার কারণে তাঁর বাড়ির আশেপাশে কাউকে ঘেঁষতে দিচ্ছে না দিল্লি পুলিস। গত কয়েকদিনে, দেশের একাধিক জায়গায় তাঁর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের হয়েছে। দেশের অশান্তির বাতাবরণ তৈরি হয়েছে। ফলে একদা বাগ্মী নূপুর, আজ নিরাপত্তার খাতিরে গোপনীয়তার অন্তরালে চলে গিয়েছেন।
বিজেপির এই সাসপেন্ডেড নেত্রীর অভিযোগ, তাঁর কাছে একের পর এক হুমকি ফোন আসছে। এরপরই দিল্লি পুলিশের কাছে নিরাপত্তার জন্য আবেদন করেন তিনি। সংবাদমাধ্যমের কাছে আবেদন করেন, যেন তাঁর বাড়ির ঠিকানা এবং ফোন নম্বর জনসমক্ষে প্রকাশ করা না হয়। গোয়েন্দা সূত্রে খবর, প্রাণ সংশয় থাকায় নূপুর শর্মার বাড়ির চারপাশে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা বলয় তৈরি করা হয়েছে। সশন্ত্র পুলিসের পাশাপাশি, সাধারণ পোশাকের পুলিসও রাখা হয়েছে।
কে এই নূপুর শর্মা?
পেশায় আইনজীবী, সুবক্তা নূপুর শর্মা। দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইনে স্নাতক। ২০১১ সালে 'লন্ডন স্কুল অব ইকোনমিক্স' থেকে এলএলএম শেষ করেন। তিনি দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদে সভাপতি ছিলেন। পরে নূপুর বিজেপির যোগ দেন। ২০০৮ সালে সংসদ হামলায় অভিযুক্ত এসএআর গিলানিকে হেনস্থা করার অভিযোগ ওঠে তাঁর বিরুদ্ধে। পরে বেকসুর খালাস পান নূপুর। ২০১৫ সালের বিধানসভা ভোটে তিনি অরবিন্দ কেজরিওয়ালের বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। হেরে গেলেও, নিজের বাগ্মীতার গুণে খুব অল্প সময়েই বিজেপির মুখপাত্র হিসেবে খ্যাতির শীর্ষে পৌঁছে যান।
বর্তমান পরিস্থিতিতে, নূপুরের সমর্থনে সোশ্যাল মিডিয়ায় বিজেপির একাংশের চাপা ক্যাম্পেন চলছে। কিন্তু তা হিন্দুত্বের রাজনীতিকে চাঙ্গা করলেও, ব্যক্তি নূপুরের ভবিষ্যৎকে কতটা অন্ধকার থেকে টেনে আনবে, সেই প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।